ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে সরগরম রাজনৈতিক মহল। এর মাঝেই বেশ কিছুটা চাপে পড়ে সেরাম ইন্সটিটিউট ও ভারত বায়োটেককে করোনা ভ্যাকসিনের দাম কমানোর অনুরোধ জানালো কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এই বিষয়ে এখনও সেরাম বা বায়োটেকের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি বলে জানা গেছে।
দিন কয়েক আগেই সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া তাদের করোনা ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’-এর দাম জানায়। সংস্থার বিবৃতি অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকারকে ১৫০ টাকা, রাজ্য সরকারকে ৪০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালকে ৬০০ টাকা দরে ভ্যাকসিন বিক্রি করবে ওই সংস্থা।
এরপরেই ভারত বায়োটেক-এর পক্ষ থেকে তাদের করোনা ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিন-এর দাম জানানো হয়। ভারত বায়োটেক জানিয়েছিলো রাজ্য সরকারকে ৬০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালকে ১২০০ টাকা দরে ভ্যাকসিন বিক্রি করা হবে।
এই দুই সংস্থার ভ্যাকসিনের দাম প্রকাশ্যে আসার পরেই সরগরম হয়ে ওঠে রাজনৈতিক মহল। বিবৃতি পালটা বিবৃতিতে বেশ কিছুটা চাপে পড়ে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধীরা সরব হয় টিকার দামের এই হেরফের নিয়ে। সব মহল থেকেই প্রশ্ন ওঠে একই দেশে কেন্দ্রীয় সরকার আর রাজ্য সরকারের জন্য ভ্যাকসিনের দাম কোন হিসেবে আলাদা আলাদা হয়। সারা দেশে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবার দাবি ওঠে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। বলা হয় টিকাকরণের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেটে যে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আছে সেই ফান্ড থেকে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য খরচ করুক কেন্দ্রীয় সরকার। দাবি ওঠে আপাতত সেন্ট্রাল ভিস্টা জাতীয় প্রকল্প বাতিল করে সেই টাকা দেশের মানুষকে টিকা দেবার কাজে লাগানোর। বিরোধীদের সম্মিলিত দাবির মুখে বেশ চাপে পড়ে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরেই দুই সংস্থার কাছে ভ্যাকসিনের দাম কমানোর দাবি জানায় কেন্দ্রীয় সরকার।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।