

পতঞ্জলিকে সমস্ত বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন তুলে নিতে হবে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনকে (আইএমএ) বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে ১৪ টি বিতর্কিত পণ্য, যেগুলির লাইসেন্স আগেই উত্তরাখণ্ড লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ স্থগিত করেছিল।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহেতার বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। শুনানিতে আদালত জানিয়েছে, যে ১৪ টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছিল তার কোনো বিজ্ঞাপন বা প্রচার করা যাবে না। সমস্ত বিজ্ঞাপন সোশ্যাল মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং অন্যান্য প্লাটফর্ম থেকে তুলে নিতে হবে।
পতঞ্জলির আইনজীবী মুকুল রোহাতগি আদালতে জানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনগুলি ডিজিটালভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিন বিচারপতি হিমা কোহলি লাইসেন্স বাতিল সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের অবহিত করার বিষয়ে জানতে চান।
আইএমএর আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া স্পষ্ট করেন, লাইসেন্সগুলি প্রাথমিকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল কিন্তু পরে ১৭মে পুনঃস্থাপন করা হয়। লাইসেন্সিং প্রক্রিয়ার আরও বিশদ বিবরণ দেওয়ার জন্য আদালত উত্তরাখণ্ড লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে।
বিচারপতি হিমা কোহলি ড্রাগস এবং লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের কার্যকারিতা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি পরীক্ষা করার জন্য আইনজীবী শাদান ফারসাতকে আদালত বান্ধব হিসাবে নিযুক্ত করেছেন।
পাশাপাশি, আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া আদালতকে জানিয়েছেন, আইএমএ'র সভাপতি ডঃ আরভি অশোকান সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করে তাঁর আগের বিবৃতির জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। বিচারপতি সেই হলফনামা গ্রহণ করেছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন