
আমরা সুস্থ থাকা বলতে শারীরিক সুস্থতাই বুঝি। কিন্তু একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা অন্তত্য জরুরি একটা বিষয়। বিশেষ করে বর্তমান সমাজে পড়াশোনা, অফিস, কেরিয়ার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের চাপে বহু মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত। এই পরিস্থিতিতে ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটির মতো একাধিক মানসিক রোগে আক্রান্ত ৮ থেকে ৮০। এমনকি আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ পরিণতিকেও বেছে নিচ্ছেন অনেকে।
এই পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সেরকমই কয়েকটি মেনে চলতে পারলে উন্নতি হতে পারে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কী জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
১. শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুনঃ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম শুধুমাত্র আপনার মেজাজ ভালো করে তোলে না, আপনাকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
২. সামাজিকভাবে সক্রিয় হনঃ মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে সামাজিক ভাবে সক্রিয় হন। পরিবার, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান।
৩. ধ্যানঃ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ধ্যান। প্রতিদিন নিয়ম করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কয়েক মিনিট ধরে ধ্যান করুন। এর ফলে কমবে চাপ ও উদ্বেগ। এমনকি ধূমপানের মতো খারাপ অভ্যাস থেকেও মুক্তি পাবেন নিয়মিত ধ্যান করার ফলে।
৫. আপনার অনুভূতি শেয়ার করুনঃ নিজের পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মনের অনুভূতি ভাগ করে নিন। এরফলে চাপ অনেকটাই কমবে।
৬. স্বাস্থ্যকর খাবার খানঃ মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে নিজের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনুন। বাইরের খাবারের পরিবর্তে বাড়ির স্বাস্থ্যকর খাবার খান। যেমন - তাজা ফল, সবুজ শাক সবজি, বাদাম, অ্যাভোকাডো এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড জাতীয় খাবার খান। এর ফলে ব্রেন তীক্ষ্ণ হবে এবং অন্যান্য অঙ্গের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করবে।
৭. পছন্দের কাজ করুনঃ কাজের পাশাপাশি রোজ এমন কাজ করুন যেটাতে আপনি খুশি থাকবেন। গান শুনতে পারেন, নাচ করতে পারেন এমনকি বই পড়তে পারেন। সামন্য হলেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের সঙ্গে সময় কাটান। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।
৮. পর্যাপ্ত ঘুমানঃ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সতেজ থাকার জন্য সারাদিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। তবে আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেটা করেন না বহু মানুষ। কিন্তু চেষ্টা করুন দিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর। কারণ মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।
৯. মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুনঃ অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে বাড়ে উদ্বেগ। তাই যতটা সম্ভব এটাকে এড়িয়ে চলুন। বন্ধু-বান্ধব, পরিবারকে সময় দিন।
১০. আপনার প্রয়োজন হলে সাহায্যের জন্য জিজ্ঞাসা করুনঃ প্রয়োজনে ডাক্তার এবং থেরাপিস্টদের সাথে পরামর্শ করুন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন