বিশ্বকাপের মাঝেই কাতারে চোখরাঙাচ্ছে 'ক্যামেল ফ্লু', আবার কি অতিমারী?

রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাতারে ২৮ জনের শরীরে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সকলে উটের সংস্পর্শে এসেছিল। এই রোগ এড়াতে গেলে উটের মূত্র পান করা বা উটের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
বিশ্বকাপের মাঝেই কাতারে চোখরাঙাচ্ছে 'ক্যামেল ফ্লু', আবার কি অতিমারী?
গ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

‘করোনা’, ‘মাঙ্কিপক্সের’ পর এবার ‘ক্যামেল ফ্লু’ আতঙ্ক। বিশ্বকাপের মাঝেই কাতার জুড়ে ছড়াচ্ছে এই নতুন রোগ। যা অতিমারীর আকার নিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বর্তমানে কাতারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১২ লক্ষ সমর্থক উপস্থিত হয়েছেন প্রিয় খেলোয়াড়দের খেলা একবার দেখার জন্য। তাতেই আশঙ্কা আরও বাড়ছে। নিউ মাইক্রোবস অ্যান্ড নিউ ইনফেকশনস-র প্রকাশিত প্রতিবেদনে 'ক্যামেল ফ্লু'-র কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই রিপোর্টে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা ক্যামেল ফ্লু-র কথা উল্লেখ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে এখন থেকে সাবধানতা অবলম্বন না করলে আগামীদিনে বিপদ বাড়বে। ‘ক্যামেল ফ্লু’-র নাম থেকে বোঝা যায় এটা উট থেকে সংক্রামিত হয়। উট থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এই ভাইরাস। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার বেশকিছু দেশে এই রোগ দেখা যায়। ২০১২ সালে সৌদি আরবে প্রথম এই 'ক্যামেল ফ্লু’-র ভাইরাসের সন্ধান মেলে। ২০১২ থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ২৭টি দেশে এর সন্ধান মিলেছে। আর ৮৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, কাতারে এই মুহূর্তে ২৮ জনের শরীরে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে। আর সকলে উটের সংস্পর্শে এসেছিল। এই রোগ এড়াতে গেলে উটের মূত্র পান করা বা উটের মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। প্রথমে শ্বাস নিতে হালকা কষ্ট হবে। পরে তা এতটাই বাড়তে পারে যার ফলে মৃত্যুও হতে পারে। তাছাড়া ডায়রিয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। WHO-র মতে কিডনি, ক্যান্সার, ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশি করে সাবধান থাকতে হবে।

বিশ্বকাপের মাঝেই কাতারে চোখরাঙাচ্ছে 'ক্যামেল ফ্লু', আবার কি অতিমারী?
FIFA World Cup 22: ডিউকের একমাত্র গোলে ১২ বছর পর বিশ্বকাপে প্রথম জয় অস্ট্রেলিয়ার

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in