
দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আতঙ্কিত দেশবাসী। এমন পরিস্থিতির মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় অস্ত্র করোনা ভ্যাকসিন। আর তাই টিকাকরণের গতি দ্রুত করাই এখন লক্ষ্য কেন্দ্রের। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি রাজ্যগুলিকে উৎপাদনের ৫০ শতাংশ টিকা সরাসরি দিতে পারবে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন পেতে কেন্দ্রের মুখের দিকে চেয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। আর এবার সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে ভ্যাকসিন ডোজের দামও ঘোষণা করে দেওয়া হল। কিন্তু, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলোকে দেয় কোভিশিল্ডের যে দাম সেরাম ইনস্টিটিউট ধার্য করেছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
বুধবার সেরাম ইনস্টিটিউটের তরফে বলা হয়েছে, সমস্ত রাজ্য সরকারকে কোভিশিল্ডের প্রতিটি ডোজের জন্য খরচ করতে হবে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ দু’টি ডোজের জন্য লাগবে ৮০০ টাকা। পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের প্রতি ডোজের দাম ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা। যদিও কেন্দ্র ১৫০ টাকার বিনিময়েই প্রতিটি ডোজ পাবে। সেরামের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'আগামী দু’মাস আমাদের উৎপাদনের ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন ভারত সরকারকে দেওয়া হবে। আর বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি পাবে।'
অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে যে ভ্যাকসিনের দাম তুলনামূলক কম, সে কথাও তুলে ধরা হয় আদর পুনাওয়ালার সংস্থার তরফে। বলা হয়েছে, আমেরিকায় যেখানে ভ্যাকসিনের দাম ১৫০০ টাকা, রাশিয়া ও চিনে প্রতি ডোজের মূল্য ৭৫০ টাকা। সেখানে ভারতে কোভিশিল্ড অনেকটাই সস্তা।
এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যদি ভ্যাকসিনের উৎপাদনের পরিমাণ বেশিই থাকত তাহলে প্রত্যেক ইউনিটের দাম কম হত। উৎপাদনের আর্থিক হিসেব অন্তত এই নিয়মেই চলে। সুতরাং, কেন এবার ভ্যাকসিনের দাম বাড়ানো হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত তা বোঝা সত্যিই দুষ্কর হয়ে উঠছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন