COVID 19: দেশজুড়ে ফের বাড়ছে কোভিড! হাজার ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা, বেশি সংক্রামিত কেরালায়

People's Reporter: তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ ভারতের কেরালায় সবচেয়ে বেশি মানুষ সংক্রামিত। সে রাজ্যে নতুন করে ৩৩৫ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। যার ফলে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪৩০ জন।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি সংগৃহীত
Published on
Summary

আরও একবার কোভিডের সংক্রমণ লক্ষ্য করা গেলেও তা নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হবার মত কিছু হয়নি বলে জানানো হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তর প্রকাশিত তথ্য অনুসারে দেশে সোমবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০০৯। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শনিবার এই বিষয়ে জাতীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন।

দেশজুড়ে ফের বাড়ছে কোভিড। সোমবারের তথ্য অনুসারে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০-এরও বেশি। গত এক সপ্তাহে কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি নতুন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। রবিবারই নতুন করে ২৫৭ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। হঠাৎ করে কোভিডের এই বৃদ্ধির ফলে নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে।

তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ ভারতের কেরালায় সবচেয়ে বেশি মানুষ সংক্রামিত। সে রাজ্যে নতুন করে ৩৩৫ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। যার ফলে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪৩০ জন। এছাড়া মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতেও যথাক্রমে ১৫৩ জন এবং ৯৯ জন নতুন অরে আক্রান্ত হয়েছে। সোমবারের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে ২০৯ এবং ১০৪ জন।

এর পরেই রয়েছে গুজরাট। সেখানে ৮৩ জন নতুন করে আক্রান্তের খবর মিলেছে। এছাড়া কর্ণাটকে ৪৭, উত্তরপ্রদেশে ১৫ এবং পশ্চিমবঙ্গে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব শনিবার জাতীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, "কেরালা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক থেকে মূলত আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই মৃদু লক্ষ্মণ এবং বাড়িতেই তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন"।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা জানিয়েছেন, এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

করোনার এই নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট হল JN.1। যা ওমিক্রন BA.2.86-এর সাবভ্যারিয়েন্ট। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের দেখা মেলে। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভ্যারিয়েন্টটি বেশ সক্রিয় হলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্বারা এটিকে এখনও উদ্বেগের ধরণ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়নি।

JN.1 ভেরিয়েন্টের লক্ষণ ও উপসর্গ হল - বেশিরভাগ সংক্রামিত ব্যক্তি হালকা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। এছাড়া জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, চরম ক্লান্তি, পেশী দুর্বলতা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, ক্ষুধা হ্রাস এবং ক্রমাগত বমি বমি ভাবও হতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে উন্নত হবে স্বাস্থ্য।

দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও কয়েকজন কোভিড আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। যদিও সরকারি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণের মাত্রা সামান্য। রোগীরা বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, হালকা জ্বর, কাশি, দুর্বলতা, গলায় সংক্রমণ। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু ঘটেনি। যদিও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি
COVID 19: দেশে ফের উর্দ্ধমুখী করোনা! কেরালায় ২৭৩, দিল্লিতে ২৩, জারি নির্দেশিকা
প্রতীকী ছবি
Covid XEC Variant: ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট, ইউরোপ ও আমেরিকায় বাড়ছে সংক্রমণ

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in