
দেশে ফের উর্দ্ধমুখী করোনা। দক্ষিণ ভারতের কেরালাতেই মে মাসে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ২৭৩ জন। জানিয়েছেন সে রাজ্যের স্বাথ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, দিল্লিতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত রাজধানীতে আক্রান্ত ২৩ জন। যার জেরে নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে রাজধানীর হাসপাতালগুলিতে। বাড়ানো হয়েছে বেড। পর্যাপ্ত অক্সিজেন, ওষুধের ব্যবস্থা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির স্বাস্থ্যদপ্তর।
তিন বছর পর ফের দেশজুড়ে ফের কোভিডের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের মরশুমে জ্বর, সর্দি, কাশি ঘরে ঘরে। এই আবহে ফের করোনার প্রকোপ। নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট হল JN.1। যা ওমিক্রন BA.2.86-এর সাবভ্যারিয়েন্ট। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের দেখা মেলে। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভ্যারিয়েন্টটি বেশ সক্রিয় হলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্বারা এটিকে এখনও উদ্বেগের ধরণ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়নি।
JN.1 ভেরিয়েন্টের লক্ষণ ও উপসর্গ হল - বেশিরভাগ সংক্রামিত ব্যক্তি হালকা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। এছাড়া জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, চরম ক্লান্তি, পেশী দুর্বলতা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, ক্ষুধা হ্রাস এবং ক্রমাগত বমি বমি ভাবও হতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে উন্নত হবে স্বাস্থ্য। এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।
যদিও এটা নিয়ে এখন থেকে সক্রিয় দেশের বিভিন্ন রাজ্য। দিল্লির পাশাপাশি নয়ডাতে প্রথম কোভিড রোগী (৫৫) রিপোর্ট করেছে। গাজিয়াবাদেও এখন পর্যন্ত চারটি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। অন্যদিকে, কেরালায় হু হু বাড়ছে করোনা। মে মাসে সে রাজ্যে আক্রান্ত ২৭৩ জন। যার জেরে আগে থেকেই সক্রিয় সে রাজ্যের সরকার। ইতিমধ্যেই মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কেরালায়।
এছাড়া প্রতিবেশি কর্ণাটকেও ৩৫ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। যাঁদের মধ্যে একজন ৯ মাসের শিশু রয়েছে। জানা গেছে, শিশুটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। মে মাসে মহারাষ্ট্রের মুম্বাইতে ৯৫ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৬ জন। থানেতে গত তিন দিনে ১০ জন রোগী আক্রান্তের খবর মিলেছে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রাখা হচ্ছে।
তবে অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যান বৃদ্ধির খবর মেলেনি। তবে সে রাজ্যে অর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন, পিপিই কিট এবং ট্রিপল-লেয়ার মাস্ক মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন