

এশিয়াজুড়ে ফের আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। বিশেষ করে হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, চিন-এর মতো দেশে সংক্রমণ উর্দ্ধমুখী। হংকংয়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষা কেন্দ্রের মতে, এই ভ্যারিইয়েন্টটি বেশ সক্রিয়। পাশাপাশি, ভারতেও হঠাৎ করে বেড়েছে সংক্রমণ।
সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস এবং JN.1 -এর সাবভ্যারিয়েন্ট LF.7 এবং NB.1.8 -এর দাপটের কারণেই এই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। JN.1 হল ওমিক্রন BA.2.86-এর সাবভ্যারিয়েন্ট। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের দেখা মেলে। পাশাপাশি মরশুমি সংক্রমণ, সামাজিক মেলামেশা বৃদ্ধি এবং ভ্রমণ - এগুলিও সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এশিয়ার এই চার দেশের সরকার জনগণকে বুস্টার টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
ভারতেও এই সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর মিলেছে। এখনও পর্যন্ত দেশে ২৫৭ জন আক্রান্ত এই ভাইরাসে। গত এক সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে ১২ থেকে ৫৬ জনে বৃদ্ধি পেয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কেরালা, মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুতে।
JN.1 ভেরিয়েন্টের লক্ষণ ও উপসর্গ হল - বেশিরভাগ সংক্রামিত ব্যক্তি হালকা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। এছাড়া জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, চরম ক্লান্তি, পেশী দুর্বলতা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, ক্ষুধা হ্রাস এবং ক্রমাগত বমি বমি ভাবও হতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে উন্নত হবে স্বাস্থ্য।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন