COVID 19: দেশজুড়ে ফের চোখরাঙানি কোভিডের! সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩০০০ ছুঁই ছুঁই, বাড়ছে মৃত্যুও

People's Reporter: দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রোগী রয়েছে কেরালায়। তথ্য বলছে, দক্ষিণের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,১১৪ জন।
করোনা ভাইরাস
করোনা ভাইরাসছবি প্রতীকী, সংগৃহীত
Published on

দেশজুড়ে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। তথ্য অনুসারে, বর্তমানে দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছুঁই ছুঁই। কেরালা, মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। পাশাপাশি, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রোগীমৃত্যুর সংখ্যাও।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এই মুহুর্তে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭১০। ২৬ মে পর্যন্ত যে সংখ্যাটা ছিল ১,০১০। অর্থাৎ গত পাঁচ দিনে ১,৭০০ মানুষ নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন।

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রোগী রয়েছে কেরালায়। তথ্য বলছে, দক্ষিণের এই রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,১১৪ জন। মহারাষ্ট্রে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪২৪। দিল্লিতে সক্রিয় করোনা রোগী ২৯৪ এবং গুজরাটে ২২৩ জন। পশ্চিমবঙ্গে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১১৬ জন।

এছাড়া, রাজস্থানে ৫১ জন, উত্তরপ্রদেশে ৪২ জন, পুদুচেরিতে ২৫ জন, হরিয়ানায় ২০ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ১৬ জন, মধ্যপ্রদেশে ১০ জন, গোয়ায় সাত জন এবং ওড়িশা, পাঞ্জাব ও জম্মু কাশ্মীরে ৪ জন আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তেলেঙ্গানা, অরুণাচল প্রদেশ এবং চণ্ডীগড়ে ৩ জন এবং মিজোরাম ও আসামে এখন পর্যন্ত ২ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে।

তবে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, সিকিম এবং হিমাচল প্রদেশে এখনও কোনও সক্রিয় রোগীর খবর মেলেনি। এছাড়া বিহারের কোনও তথ্য এখনও মেলেনি বলে জানা গেছে।

সক্রিয় রোগীর পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রোগী মৃত্যুর সংখ্যাও। তথ্য বলছে, গত ১ মাসে করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মহারাষ্ট্রে দুইজন রোগীর করোনায় মৃত্যু হয়েছে। দিল্লি, গুজরাট, কর্ণাটক, পঞ্জাব ও তামিলনাড়ুতেও একজন করে আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।

তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, অধিকাংশেরই সংক্রমণের পরিমাণ মৃদু মাত্রায় ছিল। ফলে এখনও আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ছ’জনেরই গুরুতর কো মর্বিডিটি ছিল। ফলে বিশেষ উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) এর ডিরেক্টর রাজীব বাহল বলেন, "কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। সতর্ক থাকুন। সরকার সমস্তটা পর্যবেক্ষণ করছে। বাচ্চা ও বয়স্কদের একটু বেশি করে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে"।

করোনার এই নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট হল JN.1, যা ওমিক্রন BA.2.86-এর সাবভ্যারিয়েন্ট। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের দেখা মেলে। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভ্যারিয়েন্টটি বেশ সক্রিয় হলেও, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) দ্বারা এটিকে এখনও উদ্বেগের বিষয় হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়নি।

JN.1 ভেরিয়েন্টের লক্ষণ ও উপসর্গ হল - বেশিরভাগ সংক্রামিত ব্যক্তি হালকা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। এছাড়া জ্বর, সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা, চরম ক্লান্তি, পেশী দুর্বলতা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনালের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, ক্ষুধা হ্রাস এবং ক্রমাগত বমি বমি ভাবও হতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার চার থেকে পাঁচদিনের মধ্যে উন্নত হবে স্বাস্থ্য।

করোনা ভাইরাস
'অপারেশন সিঁদুর'-এ নিহত পাকিস্তানিদের প্রতি সমবেদনা! কলম্বিয়াতে গিয়ে হতাশ ভারতীয় প্রতিনিধি দল

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in