

২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে করোনা অতিমারীর প্রকোপের পর বেশি মৃত্যু হয়েছে তরুণদের। নতুন একটি গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্ট বলছে, মহামারীর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মৃত্যুহার বেশি হলেও, ২০২১ সালে তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা ক্রমশ বেড়েছে। সেক্ষেত্রে প্রবীণদের মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিগহাম এবং মহিলা হাসপাতালের দুজন তদন্তকারীর সমীক্ষা অনুসারে, কোভিড ১৯ অতিমারীর প্রকোপে ২০২০ এবং ২০২১ সালে এক স্থান থেকে অন্যত্র যাওয়ার কারণে পরিযায়ী তরুণদের মৃত্যুহার ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মহামারীর পূর্বে, বয়স এবং বাসস্থান জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শ বিকাশে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছিল।
২০২১ সালের গোড়ার দিকে করোনা ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। সেই সময় কোভিড ভ্যাকসিনের চাহিদা অনুযায়ী তা বাজারে ধীরে ধীরে সরবরাহ করা শুরু হয়। পাশাপাশি চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার ফলে সাধারণ মানুষের আচরণে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
করোনা ভাইরাসের প্রকোপে ২০২০ সালে প্রবীণদের মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি হওয়ায়, ২০২১ সালে বয়স্কদের টিকাকরণের প্রক্রিয়াটি আগে শুরু করা হয়েছিল। যার ফলে কোভিড ১৯-র প্রতিক্রিয়ায় এই ধরণের পদ্ধতিগত এবং আচরণগত পরিবর্তনগুলি মৃত্যুর হারকে যথেষ্ট প্রভাবিত করেছে।
অ্যানালস অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে লেখক মার্ক চেইসলার জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর প্রথম ও দ্বিতীয় বছরের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণদের মধ্যে মৃত্যুর প্রধান ৫টি কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে কোভিড ১৯। তবে, ২০২১ সালে কোভিড অতিমারীর কারণে অকালে মারা যাওয়া তরুণদের সংখ্যা অনেক বেশি।
গবেষকরা মৃত্যুহারের পরিবর্তে 'ইয়ার্স অফ লাইফ লস্ট' (YLL) ব্যবহার করে কোভিড ১৯-এ মৃত্যুর এই নিম্নগামী বয়স-বদলের পরিমাপ করেছেন। এই সংস্থানগুলির মাধ্যমে গবেষকরা শতাংশের নিরিখে কোভিডে মৃত্যুর হার এবং প্রতিটি মৃত্যুর YLL গণনা করেছে। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে কোভিডে মৃত্যুর হার ২০.৮ শতাংশ কম হলেও YLL বেড়েছে ৭.৪ শতাংশ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন