Fake Medicine: ১০০ টাকার অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ ক্যানসার প্রতিরোধক বলে বিক্রি! জাল ওষুধের কারবার ফাঁস

People's Reporter: জানা গেছে, ওই চক্রটি একটি শিশিতে ১০০ টাকার অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ ভরে সেটিকে ক্যানসারের ওষুধ হিসাবে প্রতি শিশি ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকায় সারা দেশে, এমনকি বিদেশেও বিক্রি করত।
জাল ওষুধের কারবার ফাঁস
জাল ওষুধের কারবার ফাঁসপ্রতীকী ছবি

অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধকে ক্যানসারের ওষুধ বলে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে জাল ওষুধের র‍্যাকেট ফাঁস করল দিল্লি পুলিশ। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিনীতে একটি হাসপাতালের দুই কর্মচারী সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ওই চক্রটি একটি শিশিতে ১০০ টাকার অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওষুধ ভরে সেটিকে ক্যানসারের ওষুধ হিসাবে সারা দেশে, এমনকি বিদেশেও বিক্রি করত। চিন, আমেরিকাতে ‘জীবন রক্ষাকারী’ ক্যানসারের ওষুধ হিসাবে প্রতি শিশি ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি করা হত।

সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিনীতে তল্লাশি অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ। সেই অভিযান চলাকালীন দুটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় পুলিশ। ভিফিল জৈন নামে এক ব্যক্তিই এই চক্রের ‘মূল চক্রী’। তিনিই গত দু’বছর ধরে এই জাল ওষুধের কারবার চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ।

সিনিয়র পুলিশ অফিসার শালিনী সিং জানিয়েছেন, এই অভিযানে তিনটি ক্যাপ-সিলিং মেশিন, ১ টি হিটগান এবং ১৯৭ টি খালি শিশি ছাড়াও দুটি ফ্ল্যাট থেকে ৫০ হাজার নগদ এবং এক হাজার ডলার উদ্ধার করা হয়েছে।

গুরুগ্রামের একটি ফ্ল্যাটে, অন্য অভিযুক্ত নীরজ চৌহান নকল ক্যান্সার ইনজেকশনের শিশিগুলির একটি বড় স্টক সংরক্ষণ করেছিলেন। সেই ফ্ল্যাট থেকে ৫১৯ টি খালি বোতল এবং ৮৬৪ টি প্যাকেজিং বাক্স উদ্ধার করা হয়েছে।

নীরজ বেশ কয়েকটি হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগে ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন। ২০২২ সালে ভিলিফ জৈনের সাথে হাত মিলিয়ে ওষুধ সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ব্যবহার করে কম মূল্যে জাল কেমোথেরাপি ইনজেকশন বিক্রির কারবার চালু করেন নীরজ।

নীরজ চৌহানের ভাই তুষার একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান। তিনিও এই জাল ওষুধ সরবরাহের সাথে জড়িত। পারভেজ নামের আর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটি ক্যানসার হাসপাতালের প্রাক্তন ফার্মাসিস্ট পারভেজ, ভিলিফ জৈনের জন্য খালি শিশির ব্যবস্থা করতেন। পারভেজের কাছ থেকে ২০টি খালি শিশি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

দিল্লির বিখ্যাত একটি ক্যান্সার হাসপাতালের দুই কর্মচারী, কোমল তিওয়ারি এবং অভিনয় কোহলিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই দু'জন ৫ হাজার টাকা মূল্যে খালি শিশি সরবরাহ করত জৈনকে। আদিত্য কৃষ্ণ নামের এক আইআইটি-বিএইচইউ স্নাতক, যার নিজের মেডিক্যাল স্টোর রয়েছে, তাকে মুজাফফরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি চৌহানের কাছ থেকে জাল ওষুধ কিনে পুনে ও এনসিআর এলাকায় ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করতেন। 

সকলের বিরুদ্ধে ভেজাল ওষুধ বিক্রি, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করা হয়েছে।

জাল ওষুধের কারবার ফাঁস
Covid-19: ২১৭ বার কোভিড টিকা নিয়েছেন! ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in