
গুইলেন-বারি সিন্ড্রোমে (জিবিএস) এবার বাংলার দু’জনের মৃত্যু হলো। একজন দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া এবং অন্যজনের বয়স ১০ বছর। দু’জনই উত্তর ২৪ পরগণার বাসিন্দা। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দু’জনের মৃত্যুতে উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্যে। বুধবার স্বাস্থ্যভবনে এই নিয়ে বৈঠক হয়েছে।
রাজ্যে প্রথম গুইলেন-বারি সিন্ড্রোমে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে মঙ্গলবার। মৃত দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার নাম অরিত্র মঙ্গল। উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙা থানার তাবাবেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। গত ২৩ জানুয়ারি গলায় ব্যথা অনুভব করেন তিনি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে পরিবারকে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট নাগাদ অরিত্রর মৃত্যু হয়েছে। পরীক্ষায় জানা গেছে, অরিত্র জিবিএস রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল অরিত্রর। এমনকি, এই রোগের চিকিৎসার জন্য যে ওষুধের প্রয়োজন তা তাঁদের জানানো হয়নি। চিকিৎসকদের গাফিলতির জন্যই মৃত্যু হয়েছে অরিত্রের বলে অভিযোগ। এমনকি, তারাবিরিয়া পঞ্চায়েতের এক সদস্যের দাবি, হাসপাতাল থেকে দেহ আনতেও ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। অরিত্রের মৃত্যুর উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছে তাঁর পরিবার।
এরপর বুধবার কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে মৃত্যু হয় ১০ বছর বয়সী দেবকুমার সাউয়ের। উত্তর ২৪ পরগণার জগদ্দলের বাসিন্দা। এক সপ্তাহ ধরে নানা উপসর্গে ভুগছিল দেবকুমার। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নাবালক।
বিসি রায় হাসপাতাল সূত্রে খবর, গুইলেন-বারি সিন্ড্রোম রোগে আক্রান্ত আরও দুই শিশু চিকিৎসাধীনে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগণায়। বয়স ১০ বছরের আশেপাশেই।
গুইলেন-বারি সিন্ড্রোমে এর আগে পুণেতে এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ইতিমধ্যেই পুণেতে এই বিরল রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। যাঁদের মধ্যে অন্তত ৬০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের রাখা হয়েছে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন