উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তাঁর মন্ত্রীদের নিয়ে ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’-এর বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। অক্ষয় কুমারের এই নতুন ছবিটি আজ (৩ জুন) মুক্তি পেল। মুক্তির একদিন আগেই এই ছবি দেখানো হয়েছিল লখনৌর ‘লোক-ভবন’-এ। সেদিন অক্ষয় কুমারের পাশে বসে ছবিটি দেখেন যোগী আদিত্যনাথ। মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সিনেমা দেখতে যাবার ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
কংগ্রেসের তরফে মন্ত্রীদের সিনেমা দেখার একটি ছবি ট্যুইট করে লেখা হয়, ‘জনতা তাঁকে প্রদেশের দেখাশোনা করার জন্য নির্বাচন করেছিলেন, কিন্তু উনি তো সিনেমা দেখছেন।’
বিরোধী নেতা ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ট্যুইটে উল্লেখ করেছেন, ‘বিজেপির ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা একটি ‘ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র’ দেখছেন লোক-ভবনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হলে। যে হলটি সমাজবাদী পার্টির সরকারের আমলে বানানো। তবে ছবিটি পিছনের দিকের সিটে, টিকিট কেটে বসে দেখলে আরও ভালো হতো। রাজ্যের আয়ের ওপর প্রভাব পড়ত না এতে।’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছেন। টুইটারে তিনি লেখেন, 'যেখানে দেশের একপ্রান্ত কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, শিক্ষক, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা হচ্ছে। এই নিরীহ মানুষদের রক্ষা করার কথা যাঁদের, তাঁরা সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত। বিজেপি সরকার কাশ্মীরকে শুধুমাত্র ক্ষমতা প্রদর্শনের জায়গা হিসাবে দেখে। সেখানকার সাধারণ মানুষদের নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই তাঁদের।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও মঙ্গলবার দিল্লিতে এই ছবির বিশেষ স্ক্রিনিং-এ যোগ দেবার কথা। এই ঘটনাকেও কটাক্ষ করেছেন রাহুল।
প্রসঙ্গত, অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার অভিনীত এই ছবিটির নাম ছিল প্রথমে ‘পৃথ্বীরাজ’। পরে কর্ণী সেনার দাবীতে ছবির নাম পাল্টে রাখা ‘সম্রাট পৃথ্বীরাজ’। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে ছবিটি করমুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে অক্ষয় কুমার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিভরাজ সিং চৌহান ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।