
সইফ আলি খানের উপর হামলা নিয়ে আগেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। মঙ্গলবার সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সইফ আলি খান। আর এবার অভিনেতার উপর হামলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতেশ রানে। মন্ত্রীর প্রশ্ন, আদৌ কি অভিনেতাকে ছুরি মারা হয়েছিল? নাকি শুধু অভিনয় করেছেন তিনি?
পুণেতে এক অনুষ্ঠানে নীতেশ রানের প্রশ্ন, “হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সইফ আলি খানকে দেখে আমার সন্দেহ হচ্ছে। আদৌ ওকে ছুরি মারা হয়েছে তো? নাকি শুধুই অভিনয় করছে?”
নীতেশের দাবি, বিরোধীরা শুধুমাত্র কোনও ‘খান’ আক্রান্ত হলেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যখন সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করেছিলেন তখন সমর্থনে কেন বেরোননি বলে প্রশ্ন তুলেছেন নীতেশ। তিনি বলেন, “সুপ্রিয়া সুলে সইফ আলি খানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। শাহরুখ খানের ছেলেকে নিয়ে উদ্বিগ্ন, নবাব মালিককে নিয়ে উদ্বিগ্ন। কখনও দেখেছেন এদের কোনও হিন্দু শিল্পীকে নিয়ে চিন্তা করতে?” উল্লেখ্য, সইফের ঘটনার পর এনসিপি (এসপি) নেতা জিতেন্দ্র আওহাদ এবং বারামতির সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে মহারাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
সইফকে আবর্জনা বলেও কটাক্ষ করেন নীতেশ। তিনি বলেন, "এই বাংলাদেশিরা কী করছে মুম্বইয়ে? ওরা সইফ আলি খানের বাড়িতে পর্যন্ত ঢুকে পড়েছে। আগে ওরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকত। এখন বাড়িতে ঢুকছে ওরা। হয়তো ওই বাংলাদেশি (অভিযুক্ত হামলাকারী) ব্যক্তি সইফকে নিয়ে যেতে এসেছিল। সেটা বরং ভালই হয়, আবর্জনাদের ওরা নিয়ে যাক।''
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। অভিযোগ, সইফকে ছুরি দিয়ে কোপায় এক দুষ্কৃতি। জখম অবস্থায় রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। জানা যায়, মেরুদণ্ডের নীচে ছুরির একাংশ গেঁথে গিয়েছিল অভিনেতার। এছাড়া হাতে ও শরীরের অন্যান্য জায়গাতেও আঘাত লাগে তাঁর। মঙ্গলবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। এই ঘটনায় মহম্মদ সরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের এক বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত হামলার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন