
ফের বিপাকে বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। মঙ্গলবারই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। আর এবার পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিপাকে অভিনেতা। জানা যাচ্ছে, পাটৌডী পরিবারের ভোপালে থাকা ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির দখল নিতে চলেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’, ১৯৬৮ –এর আওতায় এই সম্পত্তির দখল নেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ওই সম্পত্তি দখল নেওয়ার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ ছিল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের। কিন্তু ২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর পাটৌডী পরিবারকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে পরিবারের পক্ষ উপস্থাপন করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে তা করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে ভোপাল কালেক্টর কৌশলেন্দ্র বিক্রম সিং বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ পরিস্কার হওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১৫ সালে মুম্বাই ভিত্তিক শত্রু সম্পত্তি অফিস ভোপালের ওই জমিকে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করে। এরপরেই আদালতের দ্বারস্থ হয় পাটৌডী পরিবার। পরিবারের দাবি, নূর-ই-সাবা, ফ্ল্যাগ হাউস, দার-উস-সালাম, ফোর কোয়ার্টার, নিউ কোয়ার্টার, ফার্স খানা, কোহেফিজা, আহমেদাবাদ প্যালেস সহ অনেক সম্পত্তিই তাদের।
ভোপালের শেষ নবাব ছিল হামিদুল্লাহ খান। সইফ তাঁরই প্রপৌত্র। নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিনটি কন্যা ছিল। যার মধ্যে বড় কন্যা আবিদা সুলতান ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যান। সেখানেই বসবাস শুরু করেন। নবাবের দ্বিতীয় কন্যা সাজিদা সুলতান ভারতে থেকে যান এবং সইফ আলী খানের দাদু নবাব ইফতিখার আলী খান পটৌডীকে বিয়ে করেন।
২০১৯ সালে আদালত সাজিদা সুলতানকে আইনি উত্তরাধিকারী সূত্রে স্বীকৃতি দেয়। যার ফলে নাতি সইফ আলি খান উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তির একটি অংশ পান। তবে আবিদা পাকিস্তানে পাকাপাকিভাবে বসবাস করায় ওই জমি চলে আসে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ –এর আওতায়। সেই আইনের ভিত্তিতেই এই জমি দখল হবে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শক্র আইন আনুযায়ী ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে যাওয়া ব্যক্তিদের মালিকানাধীন সম্পত্তি কেন্দ্র সরকার দাবি করতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন