

দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে এই আশঙ্কায় সিঙ্গাপুর সরকার 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমাটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই ধরণের সিনেমা দেশের মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। অশান্তিরও সৃষ্টি হতে পারে। মুসলিমদের একতরফাভাবে দোষী সাবস্ত্য করা হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমাটি ইতিমধ্যেই সারা দেশের মধ্যে বড় রকমের প্রভাব ফেলেছে। প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু এটি। তবে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার এক সপ্তাহের মাঝেই বক্স অফিসে অভূতপূর্ব সাড়া পেলেও ছবিটি ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তৈরী হয়েছে বিতর্ক।
গত ১১ মার্চ মুক্তি পেয়েছিল 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস।' মূলত কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উৎখাত করা, তাঁদের পরিবারের উপর হওয়া অন্যায়-অত্যাচারের ঘটনা নিয়েই সিনেমাটি তৈরি হয়েছিল। ছবিটির মুখ্য চরিত্রে অনুপম খের ছাড়াও অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, পল্লবী যোশী, দর্শন কুমারের মতো অভিনেতারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর সারা দেশে শোরগোল শুরু হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, এই সিনেমার বদনাম করা হচ্ছে। যারা সবসময় বাক-স্বাধীনতা কথা বলেন, তারাই ছবিটির সুনাম নষ্ট করছে। প্রধানমন্ত্রীর এই ধরণের মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে আরও বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
এই প্রসঙ্গে এক নেটিজেন লিখেছিলেন, কাশ্মীর ফাইলস কোথাও নিষিদ্ধ হোক আমি চাই না, কিন্তু 'পারজানিয়া' কেন নিষিদ্ধ হয়েছিল গুজরাটে? একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ গ্রহণযোগ্য, আরেকটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ নিন্দাজনক, এই মনোভাবের জন্য?
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন