
‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। এই ঘটনায় শুক্রবার দক্ষিণী সুপারস্টার আল্লু অর্জুনকে গ্রেফতার করেছে তেলেঙ্গানা পুলিশ। নিম্ন আদালতে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হলেও তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে শুক্রবারই জামিন পান আল্লু। আল্লুর গ্রেফতারীর পর তেলেঙ্গানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই বিষয়ে এবার জবাব দিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি।
শুক্রবার এক সর্বভারতীয় সংস্থায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রেভান্থ বলেন, ‘আল্লু অর্জুন কেবল ছবিটি দেখে চলে যাননি। তিনি গাড়ির সানরুফ থেকে বেরিয়ে অনুরাগীদের শুভেচ্ছা জানান। এর ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়’। তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যখন সাধারণ মানুষের মাঝে যাচ্ছেন, তার আগে পুলিশকে জানাতে হবে। না জানিয়ে আসলে এই অঘটনের দায় কে নেবে? পুলিশ তো মামলা দায়ের করবে’।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, আল্লুর পরিবারের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। তিনি বলেন, ‘ওঁ আমার আত্মীয়। আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি। এটা ভিত্তিহীন যে আমি ওঁকে সম্মান করি না। ওঁর শ্বশুর চন্দ্রশেখর রেড্ডিও আমার আত্মীয়। চিরঞ্জীবী কংগ্রেস নেতা। তিনি কংগ্রেস পরিবারের সদস্য। গ্রেফতার করা পুলিশের কাজ। তারা সেই কাজ করেছে। পুলিশ আমাকে রিপোর্টও দিয়েছিল’।
এরপরেই পদপৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়া ওই পরিবারের প্রসঙ্গ তোলেন রেভান্থ। তিনি বলেন, অভিনেতার গ্রেফতারের বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও, পদপিষ্টে মৃত ওই মহিলার পরিবার সম্পর্কে কোনও আলোচনা হয় নি। রেভান্থের কথায়, ‘একটি দরিদ্র পরিবার একজন সদস্যকে হারিয়েছে। ওই মহিলার ছেলে এখনও হাসপাতালে কোমায় রয়েছে। যখন সে কোমা থেকে বেরিয়ে আসবে, তখন তাঁকে মা ছাড়াই বাকি জীবন কাটাতে হবে’।
প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারের সময় এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা থিয়েটারে উপস্থিত হয়েছিলেন আল্লু আর্জুন। তাঁকে দেখতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ভিড়ের মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। সেই ঘটনায় আহত হন ওই মহিলার ১৩ বছরের পুত্রও। তারপরই আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় আল্লু অর্জুনকে। প্রথমে চিক্কাড়পল্লী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নামপল্লী আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পরে অবশ্য তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পান আল্লু অর্জুন। শনিবার সকালে জেল থেকে বেরিয়ে বাড়ি আসেন। তিনি বাড়ি ফিরতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রানা দগ্গুবতী, নাগা চৈতন্যরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন