Aryan Khan: অবশেষে মাদক মামলায় ক্লিনচিট পেলেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান

মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে যে চার্জশিট পেশ করা হয় তাতে আরিয়ান খানের নাম নেই।
আরিয়ান খান ( ইনসেটে )
আরিয়ান খান ( ইনসেটে )ফাইল চিত্র

শুক্রবার শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে মাদক মামলায় ক্লিনচিট দিল মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওরফে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সংস্থার তরফে যে চার্জশিট পেশ করা হয় তাতে আরিয়ান খানের নাম নেই।

এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে NCB বলেছে, "বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তার তদন্ত চালিয়েছে। SIT দ্বারা পরিচালিত তদন্তের ভিত্তিতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে NDPS আইনের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে বাকি ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা যায়নি।"

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছর ২ অক্টোবর কর্ডেলিয়া ক্রুজ নামের এক প্রমোদতরণীতে ৩ দিনব্যাপী এক মিউজিক্যাল যাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। গোয়াগামী সেই বিলাসবহুল তরণীতে প্রায় ১৫০০ জন যাত্রী ছিলেন। যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বলিউড, ফ্যাশন এবং বাণিজ্যজগতের বিশিষ্ট মানুষজন।

গোপন সূত্রে খবর, পেয়ে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা পৌঁছে যায় ওই বিলাসবহুল তরণীতে। সেখান থেকেই আটক করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ানসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ ৮ বন্ধুকে। এছাড়াও নুপুর সাতিজা, ইস্মিথ চন্দা, মহাক জাসওয়াল, গোমিত চোপড়া ও ভিক্রন্ত ছোক্কারকে আটক করা হয়। আরিয়ান খান এবং তাঁর অন্য দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে এনডিপিসি আইনের ধারা ৮(সি), ধারা ২০(বি), ধারা ২৭, ২৮, ২৯ এবং ৩৫ অনুসারে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

টানা ২৬ দিন জেল হেফাজতে ছিলেন আরিয়ান। জন্মদিনের ঠিক তিনদিন আগে জামিন পেলেও আদালতের তরফে ১৪টি শর্ত দেওয়া হয়েছিল শাহরুখ পুত্রকে। নির্দেশগুলি হল, প্রতি শুক্রবার NCB-এর অফিসে তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। তিনি পুলিশকে না জানিয়ে মুম্বাইয়ের বাইরে কোনোমতেই যেতে পারবেন না। পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে এবং জরিমানা হিসেবে দিতে হবে নগদ ১ লক্ষ টাকা ইত্যাদি।

আদালত জানিয়েছে, আরিয়ান খানের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট থেকেও আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি। আদালতের বক্তব্য অনুসারে, অভিযুক্ত খান এবং তাঁর বন্ধু আরবাজ ও মুনমুন ধামেচার মধ্যে চলা হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট থেকে আপত্তিকর কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। একই ক্রুইজ শিপে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচা ভ্রমণ করছিলেন অর্থ এই নয় যে তাঁরা চক্রান্ত করেছিলেন। এছাড়াও বিচারপতি সামব্রে জানিয়েছেন, ধৃতরা আদৌ ড্রাগ নিয়েছিলো কিনা তা দেখার জন্য কোনো মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়নি।

একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার তদন্ত করছিল NCB মুম্বাই। পরে NCB দিল্লির তরফে তদন্তভার দেওয়া হয় সঞ্জয় কুমার সিং-এর উপর।

আরিয়ান খান ( ইনসেটে )
Mumbai Drug Case: ড্রাগ ব্যবসার মাস্টারমাইন্ড ফড়নবীশ - চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নবাব মালিকের

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in