আরিয়ানের মতো রিয়াকেও ফাঁসানো হয়েছে - পুনঃতদন্তের দাবীতে সরব আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে

শুধু রিয়া নন, এই ধরণের মামলায় অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পুনঃতদন্তের আর্জি জানিয়েছেন সতীশ মানেশিন্ডে। দীপিকা পাড়ুকোন, রাকুল প্রীত সিং এবং সারা আলি খানকেও এন.সি.বি অফিসে ডাকা হয়েছিল।
রিয়া চক্রবর্তী
রিয়া চক্রবর্তী

গত ২৭ মে শুক্রবার শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান সহ পাঁচজনকে ক্লিনচিট দিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। এরপরই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সাথে সম্পর্কিত মাদক মামলায় রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পুনঃতদন্তের দাবী জানালেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। তাঁর দাবি, আরিয়ান খানের মতো রিয়া চক্রবর্তীকেও ফাঁসানো হয়েছে।

আরিয়ান খানের হয়ে মামলা লড়া মানশিন্ডে বলেছেন, “আমি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দাবি জানাচ্ছি রিয়ার (রিয়া চক্রবর্তী) মামলাটিরও তদন্ত হওয়া উচিত। NCB একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠন করে এই মামলাটির তদন্ত করুক। NCB-র ডিজি, এসএন প্রধান, একদিন আগে বলেছেন হোয়াটস্যাপ চ্যাট আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়। রিয়ার কাছে কোনো ওষুধ পাওয়া যায়নি, তাঁর কোনো টেস্টও নেওয়া হয়নি। তবে সে কেন এই বিচার না হওয়া মামলার ফল ভুগবে? রিয়ার মামলাটি যে NCB অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, আরিয়ান খানের মামলাটিও তাঁরাই তদন্ত করছিলেন। আমি রিয়ার মামলাটির পুনঃতদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃপক্ষ এবং পিএমওকে অনুরোধ করছি।"

আইনজীবী বলেন, "এসএন প্রধান এবং ডেপুটি ডি.জি সঞ্জয় সিং যেভাবে SIT গঠন করে আরিয়ান মামলার তদন্ত করে সত্যটি সামনে এনেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। রিয়ার ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিতে তদন্ত করা হোক। আসলে আমি বলব, শুধু রিয়া নন, এই ধরণের মামলায় অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে পুনঃতদন্ত করা উচিত। দীপিকা পাডুকোন, রাকুল প্রীত সিং এবং সারা আলি খানকে NCB অফিসে ডাকা হয়েছিল। ডিজির এই বিষয়টিকে খতিয়ে দেখা উচিত।"

আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের কথায়, বলিউড অভিনেতাদের কর্ম (অভিনয়) জীবন অল্প সময়ের জন্য হয়। ১০ থেকে ২০ বছরের এই কর্মজীবনে তাঁদের ফিট থাকতে হয়, যা ড্রাগ নিলে সম্ভবপর নয়। বরং ওষুধ ও মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টের মধ্যে থাকতে হয় তাঁদের। তবে NCB যেভাবে তারকাদের তদন্তের জন্য ডেকে আনে, তাতে শুধু চাঞ্চল্য তৈরি হয় আর খবর হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হয় না।

তিনি বলেছেন, “গত তিন বছর ধরে NCB অনেককে এভাবে সমস্যায় ফেলেছে। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। শুধু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ওপর ভিত্তি করে অভিযোগ করা ভিত্তিহীন। এই তদন্ত যথাযথ প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত।”

প্রসঙ্গত, বলিউড হিরো সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। রিয়া-সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল সুশান্তের পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় রিয়াকে। ১ মাস মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে ছিলেন তিনি। পরে যদিও জামিনে ছাড়া পান রিয়া। তবে তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডের দাবি, রিয়ার কাছ থেকে কোনও মাদক উদ্ধার করতে পারেনি NCB। কেবল মাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতেই এই মামলাগুলি সাজানো হয়েছিল। তাই রিয়া, তাঁর ভাই সৌভিক ও অন্যান্য বিচারাধীন মামলার (NCB কর্তৃক) দ্রুত তদন্তের দাবী করেছেন এই আইনজীবী।

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in