

মুম্বাইয়ের প্রমোদতরীতে অভিযান চালানোর সময় এনসিবি-কে সাহায্যকারী 'ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইটনেস' কে পি গোসাভিকে আটক করলো পুলিশ। পুনেতে আটক করা হয়েছে তাঁকে। পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতাভ গুপ্ত এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন। প্রমোদতরীতে অভিযানের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের একটি চাকরি জালিয়াতি মামলায় কে পি গোসাভির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছিল পুলিশ। তিনদিন আগে সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছিলেন লখনউয়ের একটি থানায় আত্মসমর্পণ করতে চলেছেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, মহারাষ্ট্রে তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। তাই লখনউতে আত্মসমর্পণ করতে চান তিনি। যদিও লখনউ পুলিশ জানিয়েছে গোসাভি তাঁদের কাছে আত্মসমর্পণের কোনো চেষ্টাই করেননি।
চলতি মাসের প্রথম দিকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি কর্তৃক প্রমোদতরীতে অভিযানের সময় এবং পরে আরিয়ান খানকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এনসিবি অফিসে হাজির ছিলেন কে পি গোসাভি। এই উপস্থিতি নিয়ে মহারাষ্ট্রের শাসক দলের তরফ থেকে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়। প্রশ্নের মুখে এনসিবি গোসাভিকে তাদের 'ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইটনেস' হিসেবে দাবি করে। এরপর থেকেই পলাতক হয়ে যান গোসাভি।
গত রবিবার প্রভাকর সইলি নামের এক ব্যক্তি, যিনি নিজেকে গোসাভির বডিগার্ড হিসেবে দাবি করেছেন, তিনি আদালতে এক হলফনামায় জানিয়েছেন, আরিয়ান খানকে মুক্তি পাইয়ে দিতে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন গোসাভি। ফোনে এই টাকা চাওয়ার কথা শুনেছেন তিনি। এর মধ্যে ৮ কোটি টাকা এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের জন্য বলেও ফোনে বলতে শোনা গেছে গোসাভিকে, দাবি প্রভাকরের।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন