

ঘুষ মামলায় সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। মাদক কান্ডে শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এক সাক্ষীর মাধ্যমে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে। সাক্ষীর আরও দাবি, প্রমোদতরীতে অভিযানের সময় তাঁকে দিয়ে ১০টি সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছেন ওয়াংখেড়ে।
এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং-এর ওপর এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থাকে জ্ঞানেশ্বর সিং জানিয়েছেন, "আমরা সাক্ষীর হলফনামা পেয়েছি এবং আমাদের মুম্বাইয়ের ডিডিজি-র কাছ থেকে একটি রিপোর্ট পেয়েছি। এনসিবি-র ডিরেক্টর জেনারেল রিপোর্টটিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তদন্তের জন্য ভিজিল্যান্স কমিটি গঠন করেছেন তিনি। আমরা একটি পেশাদার সংগঠন। আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে ওঠা যে কোনো অভিযোগের আমরা তদন্ত করতে রাজি। তদন্ত স্বচ্ছ হবে এবং ন্যায়ের পথে চলবে।"
এরপরও মাদক কান্ডের তদন্ত সমীর ওয়াংখেড়েকে দিয়ে করানো হবে কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এই প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা নেই। তদন্তের অগ্রগতির সাথে সাথে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে উপস্থিত হয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন কাজের জন্য এসেছেন।
আরিয়ান মামলার সাক্ষী প্রভাকর সেইল ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার কয়েকঘন্টা পর তাঁর সাথে এক ব্যক্তির সেলফি ভাইরাল হয়েছিল, নিজেকে ব্যক্তিগত গোয়েন্দা হিসেবে দাবি করা সেই কে পি গোসাভির বডিগার্ড হলেন প্রভাকর সেইল। বর্তমানে নিখোঁজ থাকা গোসাভি শীঘ্রই লখনৌর একটি আদালতে হাজিরা দেবেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রবিবার নিজের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন প্রভাকর সেইল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন