
২০২০ সালের একটি মাদক মামলায় অভিযুক্ত স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান ভারতী সিং এবং তাঁর স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (NCB)। এসপ্ল্যানেড ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিটটি পেশ করা হয়েছে।
হর্ষ লিম্বাচিয়া হলেন একজন চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজক। সূত্রের খবর, ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর মুম্বাইয়ের আন্ধেরি এলাকার অন্তর্গত লোখান্ডওয়ালার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এনসিবি। সেখান থেকে ৮৬.৫ গ্রাম মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। এরপর এই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
জেল হেফাজতে থাকাকালীন ভারতী এবং হর্ষ তাঁদের জামিনের আবেদন করেন। দম্পতি দাবি করেন, তাঁদের বাসভবন থেকে খুব কম পরিমাণে মাদক উদ্ধার হয়েছে। তাই, দীর্ঘমেয়াদি বিচারের পর দোষী প্রমাণিত হলেও এই মামলায় তাঁদের শাস্তির মেয়াদ এক বছরের বেশি হবে না। দুজনেই ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ার পর ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই দম্পতির জামিন মঞ্জুর করে।
ভারতী এবং তাঁর স্বামীর জামিনের পর দায়রা আদালতে পুনরায় মামলা করে এনসিবি। আবেদনে তারা দাবি জানায়, প্রতিপক্ষকে বক্তব্য রাখতে না দিয়ে, কোনও শুনানি ছাড়াই অভিযুক্তদের জামিন দিয়েছে আদালত। ম্যাজিস্ট্রেটের এই আদেশকে 'বিকৃত, বেআইনি এবং আইনের চোখে খারাপ দিক' বলে অভিহিত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণ দেখিয়ে বিশেষ নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস (এনডিপিএস) আইন দ্বারা সংশোধিত আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে আদালত। যার ফলে পুনরায় কেন্দ্রীয় সংস্থাটি একই দাবিতে আরেকটি আবেদন করে। তবে, মুম্বাইয়ের দায়রা আদালতে সেই মামলার শুনানি এখনও হয়নি।
এনসিবির পেশ করা চার্জশিটে আইনের বিভিন্ন ধারার অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭ নম্বর ধারা (ভোগ সম্পর্কিত), ২৮ (অপরাধের চেষ্টা), ২৯ (প্ররোচনা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের জন্য শাস্তি), ৮ সি (পণ্য উত্পাদন, দখল, বিক্রয় সম্পর্কিত, ক্রয়, পরিবহন, গুদাম ব্যবহার, আন্তঃরাজ্য আমদানি-রপ্তানি, ভারতে আমদানি-রপ্তানি বা চিকিৎসা এবং বৈজ্ঞানিক ডোজ ব্যতীত কোনো মাদকদ্রব্য বা সাইকোট্রপিক পদার্থ স্থানান্তর করা)।