

তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। নয়া মন্ত্রিসভাও গঠন হয়েছে। কিন্তু সেই মন্ত্রিসভায় নেই কোনও মুসলিম মুখ। যা নিয়ে কড়া ভাষায় মোদীর সমালোচনা করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে নাসিরুদ্দিন বলেন, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি বলেছিলেন আমাদের দেশে একা মুসলিম এবং একা হিন্দু কিছুই করতে পারবে না। সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। কিন্তু মন্ত্রিসভা দেখে একটু খারাপ লেগেছে। তবে আমি অবাক হইনি। এদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "নরেন্দ্র মোদীর মাথায় ফেজ টুপি দেখতে চাই। এটা কেবল সৌজন্যের জন্য বলছি। এতে তো কারুর ক্ষতি হবে না। বরং মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে মোদীর প্রতি ভালো ধারণা তৈরি হবে। যা দেশের জন্যও ভালো। ২০১১ সালে মৌলবীরা তাঁকে ফেজ টুপি উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা পরতে অস্বীকার করেন।" উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রচারে গিয়ে মোদীকে বিভিন্ন ধরণের প্রাদেশিক পোশাক ও মুকুট পরতে দেখা গিয়েছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে এই মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা বলে মনে করা হচ্ছে।
অভিনেতা আরও বলেন, "মোদী ভেবেই নিয়েছিলেন যে তিনিই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। কিন্তু এবারে সবথেকে খারাপ ফল করেছে বিজেপি। মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগিতেও শরিক দলের কথা ভাবতে হচ্ছে তাঁকে।"
নরেন্দ্র মোদীর সাথে ৭১ জন সাংসদ মন্ত্রিপদে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। যার মধ্যে কোনও মুসলিম মুখ ছিল না। এর আগে ২০১৪ এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর মোদী মন্ত্রিসভায় মুসলিম মুখ ছিল। এমনকি অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমলেও মন্ত্রিসভায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মন্ত্রী ছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন