
অভিনয় থেকে রাজনীতি - বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গেছে তাঁকে। এবার বর্তমান দিনের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা গেল বলিউড অভিনেত্রী তথা মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে। অভিনেত্রীর দাবি, ডেটিং, লিভ ইন - সম্পর্কগুলি ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। এর ফলে ভারতীয় সংস্কৃতির অবক্ষয় হচ্ছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কোনও ডেটিং অ্যাপে প্রোফাইল খুলবেন কিনা! যার উত্তরে সাংসদ-অভিনেত্রী বলেন, "কোনও ডেটিং অ্যাপে নাম লেখাতে চাই না আমি। ওই সংস্কৃতি আমাদের আসল সংস্কৃতিকে নর্দমায় পরিণত করেছে। প্রত্যেকেরই কিছু চাহিদা আছে, সেটা অর্থনৈতিক হতে পারে, শারিরীক হতে পারে আবার অন্য কিছুও হতে পারে। প্রত্যেক নারী, প্রত্যেক পুরুষের চাহিদা আছে। কিন্তু সেই সব চাহিদা কীভাবে পূরণ হবে? সেটাই বড় প্রশ্ন"।
অভিনেত্রীর কথায়, "কীকরে চাহিদা মেটাব? রুচিপূর্ণভাবে, না কি অশোভনীয় আচরণে? যেমন ধরুন, প্রতি রাতেই সঙ্গীর খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া। আজকাল এটাই ডেটিং। ভয়ংকর পরিস্থিতি! আমার কাছে এটা খুব জঘন্য আচরণ! এই ধরনের লোকজনদের ধারেকাছেও যেতে পারব না আমি!"
সাক্ষাৎকারে সঞ্চালক পাল্টা যুক্তি দেন, নিজের মতো করে জীবন যাপনের আধিকার সকলের রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কঙ্গনা বলেন, "ট্রোলড হওয়ার ভয়ে এসব বলছেন আপনি। নিজের ভাই বা বোন এসব করুক, সেটা কি চাইবেন? আমার মনে হয়, কোনও সমস্যা থাকলে তবেই কেউ ডেটিং অ্যাপে যায়। যারা অন্যের কাছ থেকে বৈধতা চায়, যাদের আত্মবিশ্বাস নেই, তারাই যায়। অফিসে, কলেজে অথবা মা-বাবার দেখে দেওয়া মানুষের মধ্যেই সঙ্গী পাওয়া যায়"।
অভিনেত্রীর বক্তব্য, "আমার মত কাউকে ডেটিং অ্যাপে পাবেন না আপনি। সব অপদার্থ মানুষে (পড়ুন লুজার) ভর্তি, যারা জীবনে কিছু করতে পারেনি, কিছু অর্জন করেনি। কোথাও কাউকে না পেলে ডেটিং অ্যাপে হাজির। কেমন চরিত্র ভাবুন!"
এরপরেই লিভ ইন সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, "আমাদের সমাজের বিয়ে অত্যন্ত জরুরি। স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দেন স্বামী। আজকাল লিভ ইন সম্পর্কের কথা শোনা যায়। আমার জীবনেও সম্পর্ক এসেছে। অন্যদের লিভ ইন সম্পর্ক দেখেছি। কিন্তু আমি বলছি শুনুন, মেয়েদের জন্য এটা ঠিক নয়। গর্ভপাত করানোর সময় কে পাশে থাকবে? লিভ ইনে গর্ভবতী হয়ে পড়লে, কে খেয়াল রাখবে? পুরুষরা তো শিকারি! গর্ভবতী করে পালিয়ে যাবে!"
ভারতের মতো দেশে লিভ ইন সম্পর্কে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং এই সম্পর্ক আইনত বৈধ। অভিনেত্রীকে সে কথা মনে করিয়ে দিলে, তিনি বলেন, "যতই ক্ষমতায়ন হোক না কেন, যতই বই পড়ি, যত সমীক্ষা হোক, বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে গেলে, ছেলেদের মতো পৃথকীকরণ করতে পারবে না মেয়েরা।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন