
কন্নড় ভাষা বিতর্কে নিজের অবস্থানেই অনড় দক্ষিণী অভিনেতা কমল হাসান। তিনি ক্ষমা চাইবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন কর্ণাটক হাইকোর্টে।
কন্নড় ভাষার উৎপত্তি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আইনি জটিলতায় জড়িয়েছেন কমল হাসান। মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্ট তাঁকে জানায়, "আপনার বক্তব্য রাখার অধিকার আছে। অনুভূতিতে আঘাত করার নয়। বাক ও মত প্রকাশের মৌলিক অধিকার এমন পরিমাণে দেওয়া যাবে না যাতে তা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করে। আমরা এখন এটি আপনার উপর ছেড়ে দিচ্ছি। যদি আপনি কাউকে আঘাত করে থাকেন তবে ক্ষমা চাইবেন।"
আদালত কমল হাসানের উদ্দেশ্যে আরও বলে, "আপনি একজন সাধারণ মানুষ নন। জনপ্রিয় অভিনেতা। আপনি কি ইতিহাসবিদ? আপনি হয়তো যা বলেছেন তা ফিরিয়ে নিতে পারবেন না কিন্তু ক্ষমা চাওয়া যেতেই পারে।"
আদালতে অভিনেতার আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল কন্নড় ভাষার প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। এর থেকে বেশি কিছু বলার নেই। ক্ষমা চাইবেন না কমল হাসান।
পাল্টা আদালত অভিনেতার সিদ্ধান্তকে 'অহংকার' বলে সমালোচনা করেছে।
প্রসঙ্গত 'ঠাগ লাইফ' ছবির প্রচারে সম্প্রতি চেন্নাইয়ের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কমল হাসান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কন্নড় অভিনেতা শিবাজীকুমারও। সেখানে কমল বলেন, “তামিল হল আমার জীবন ও আমার পরিবার। আর অভিনেতা শিবাজীকুমার হলেন অন্য রাজ্যে থাকা আমার পরিবারের আর এক অংশ। তাই আজ তিনি এসেছেন। আর সেই জন্যই শুরুতে বললাম, তামিল ভাষা আমার পরিবার ও জীবন। আর আপনার (শিবাজীকুমার) ভাষা তামিল থেকেই জন্ম নিয়েছে। তাই আপনিও আমাদের মধ্যেই আছেন"।
অভিনেতার এই মন্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক। কন্নড়পন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা অভিনেতাকে তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। কর্ণাটকের বিরোধী দলনেতা আর অশোকা অভিনেতাকে মানসিক রোগী বলেও আক্রমণ করেন। পাশাপাশি তিনি কমল হাসানের সমস্ত ছবি বয়কটের ডাকও দেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন