

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের ভবিষ্যতের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সেন্সর করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট সরদার চরণজিৎ সিং চন্দরপালের দায়ের করা আবেদনটিতে বলা হয়েছে - রানাউতের পোস্টগুলিকে সেন্সর অথবা ডিলিট জন্য সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশ দেওয়া দরকার। দেশের আইন শৃঙ্খলার জন্য কঙ্গনার পোস্ট বিপজ্জনক।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে – “ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে কঙ্গনা শিখদের ‘খালিস্তানি’ সন্ত্রাসী বলে বর্ণনা করেছেন। এমনকি ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গাকে সমর্থন করেছেন তিনি। তাঁর মতে শিখদের মশার মত টিপে মেরে ফেলা যায়। তিনি এও বলেছেন শিখদের শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর মতো একজন ‘গুরু’ দরকার, অথচ শিখদের চিরন্তন গুরু হলেন গুরু গ্রন্থ সাহিবজী।”
আবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই ধরনের বিবৃতি জাতিগত বৈষম্য, ধর্মীয় ঘৃণার অনুভূতি তৈরি করে, এমনকি দাঙ্গা পর্যন্ত হতে পারে। “কঙ্গনার মন্তব্য শুধুমাত্র আপত্তিকর এবং নিন্দাজনক নয়। বরং দাঙ্গা সৃষ্টি করা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে করা। সেইসাথে শিখদের সম্পূর্ণরূপে দেশবিরোধী হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। নিরীহ শিখকে খুন করার মান্যতাও দেয় এই মন্তব্যগুলি। আমাদের দেশের ঐক্যের পরিপন্থী এই মন্তব্যের জন্য কঙ্গনা শান্তি পাওয়া উচিৎ”।
বলা হয়েছে দেশের সব প্রান্তে কঙ্গনার বিরুদ্ধে যত এফআইআর হয়েছে, সেগুলি একত্র করা দরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, আইটি মন্ত্রক, ট্রাই এবং বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকের কাছেও আবেদন করা হয়েছে, যাতে কঙ্গনার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট সেন্সর করা হয়।
- with IANS inputs
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন