

ফের বিতর্কে জড়ালেন কঙ্গনা রানাউত। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে তিনি বলছেন নেতাজী সভাষ চন্দ্র বসু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তারপরই কঙ্গনাকে নিয়ে হাসি-নিন্দার ঝড় ওঠে সমাজমাধ্যমে। যদিও জানা গেছে এই ভিডিওটি ১০ বছরের পুরনো। (এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।)
২০১৪ জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যম আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যান বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আমি একটা কথা আজ পরিষ্কার করে বলতে চাই, যখন আমরা স্বাধীনতা পাই তখন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস।" কঙ্গনার কথা শুনে সঞ্চালিকা বলেন, "ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।"
তারপরই কঙ্গনা বলেন, "হ্যাঁ তিনি ছিলেন না ঠিকই। কিন্তু তিনি কোথায় গেলেন? কীভাবে তাঁকে নিখোঁজ করে দেওয়া হলো?" কঙ্গনার মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কেউ লেখেন, "১৯৪৫ সালে সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছিল। আর ভারত স্বাধীন হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। তাহলে সুভাষচন্দ্র বসু কীভাবে প্রথম প্রধান মন্ত্রী হলেন?" অন্য একজন লেখেন, "কঙ্গনাই বলেছিলেন ২০১৪ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল। আবার এখন বলছেন সুভাষচন্দ্র বসু প্রথম প্রধানমন্ত্রী। সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়নি কারণ তিনি ইংরাজী জানতেন না। আগামী ৫ বছরে আরও এমন মজার মজার জোকস বলবেন উনি।"
এক্স হ্যান্ডেলে আরও একজন কটাক্ষ করে লেখেন, "আমি কঙ্গনার মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি। কারণ আমরা জানি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী।"
উল্লেখ্য, এবার লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন কঙ্গনা। হিমাচলের মান্ডি থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন