

সইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করার জন্য আপৎকালীন দরজা ব্যবহার করেছিল দুষ্কৃতি! এমনকি সেখানে কয়েক ঘন্টা লুকিয়েও ছিল! বৃহস্পতিবার দুপুরে এমনই জানালেন মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীক্ষিত গেডাম। সিসিটিভি ফুটেজে আবাসনের সিঁড়িতে দুষ্কৃতীকে দেখা গেছে।
মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে নয়, বরং অনেক আগেই আবাসনে প্রবেশ করে দুষ্কৃতি। প্রাথমিক তদন্তের পর বান্দ্রা থানার পুলিশ জানিয়েছে, সইফের বাড়ির সহায়িকা ইলিয়ামা ফিলিপ আলিয়াস লিমা বুধবার রাত ২ টো নাগাদ দুষ্কৃতিকে প্রথম দেখতে পান। তখনই তিনি চিৎকার করেন। তা শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সইফ। দুষ্কৃতির সঙ্গে হাতাহাতির সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে অভিনেতার উপর চড়াও হয় সে।
পুলিশের দাবি, সেই সময়ই সইফকে বার বার আঘাত করে দুষ্কৃতি। মোট ছ’টি জায়গায় আঘাত ছিল। তার মধ্যে দু’টি গভীর ছিল। আহত হন পরিচারিকা লিমাও। তাঁর ডান হাতের কব্জিতে আঘাত লেগেছে। আপাতত দুজনেই বিপদমুক্ত। লিমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানেই জানা গেছে, লিমাকেই প্রথম আক্রমণ করেছিল দুষ্কৃতি। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সৎগুরু শরণ বিল্ডিং নামের একটি আবাসনে স্ত্রী তথা বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুর এবং দুই ছেলে তৈমুর এবং জেহ-র সঙ্গে থাকেন সইফ। বুধবার রাত ২ টো নাগাদ অভিনেতার বাড়িতে হানা দেয় এক অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতি। সেই সময় ঘুমাচ্ছিলেন অভিনেতা। শব্দ পেয়ে বেরোতেই তাঁর উপর হামলা চালায় ওই দুষ্কৃতি। অভিযোগ, সইফকে ছুরি দিয়ে কোপায় ওই দুষ্কৃতি। এরপর আবাসন থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতি। জখম অবস্থায় রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানাচ্ছে, ডাকাতির উদ্দেশ্যেই অভিনেতার বাড়িতে হানা দেয় ওই দুষ্কৃতি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন