মোদি সরকারের সিনেমাটোগ্রাফ (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এর খসড়া প্রকাশ হওয়ার পরই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন পরিচালক, শিক্ষাবিদ, গবেষক, পড়ুয়া, টেকনিশিয়ান, আইনজীবী ও সুধি সমাজের একাংশ। কেন্দ্রের এই নতুন খসড়া আইনের মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা ও বিরুদ্ধ মত প্রকাশের অধিকারেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই সিনে জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি ১,৪৩০ জন নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছেনম বিজয়কৃষ্ণ আচার্য, দীবাকর ব্যানার্জি, জোয়া আখতার, ভেত্রি মারান, অনুরাগ কাশ্যপ, নন্দীতা দাস, হনসল মেহতা, শাবানা আজমি, শিল্পী গুলাটি, শিক্ষাবিদ ভার্গভ রানি, প্রতীক ভাতস এবং আইনজীবী সাহানা মনজেস ও মানি চান্দের।
মন্ত্রকে পাঠানো আবেদন বেশ কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। যা হল,
- সিনেমাটোপ্রাফ (সংশোধন) বিল, ২০২১ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি)-এর ভূমিকার উপর কাঁচি চালানোর জন্য নিজেদের হাতে সমস্ত ক্ষমতা তুলে নিতে চাইছে। যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
-ফিল্ম পাইরেসি এখন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নতুন খসড়া বিলে সেই সমস্যা সমাধানে কোনও পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়নি।
-কেন্দ্রীয় সরকারকে চলচ্চিত্রের শংসাপত্র প্রত্যাহারের ক্ষমতা প্রদানকারী সংশোধনীগুলি বাতিল করতে হবে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু দাবি জানানো হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক চাইছে, ১৯৫২ সালের সিনেমাটোগ্রাফ আইনে নতুন একটি ধারা যোগ করা হোক। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে সেন্সর বোর্ডের সিদ্ধান্ত বদলে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে। ২ জুলাইয়ের মধ্যে বিলটি জনগণের মতামতের জন্য প্রকাশ করা হবে। নতুন এই বিলে ক্ষুব্ধ হয়েছেন একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা। এই আইনের অপব্যবহারের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, সংশোধিত এই আইনের ফলে কেন্দ্রের হাতে এমন ক্ষমতা চলে আসবে যাতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, যা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার, তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।