

কেন্দ্রের প্রস্তাবিত সংশোধিত সিনেমাটোগ্রাফ আইন ২০২১-এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসান। এই আইনের ফলে ফিল্ম সার্টিফিকেট বোর্ডের দেওয়া ছাড়পত্রকে অগ্রাহ্য করে যেকোনো সিনেমা পুনরায় পরীক্ষা করে দেখতে পারে কেন্দ্র এবং সার্টিফিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলও করতে পারবে সরকার।
নিজের ট্যুইটারে দক্ষিণ ভারতের খ্যাতনামা অভিনেতা ও ফিল্মমেকার কমল হাসান লেখেন, "সিনেমা, মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবী সমাজ ভারতের তিন আইকনিক বানর হতে পারে না। গণতন্ত্রকে আহত এবং বিকৃত করার চেষ্টার বিরুদ্ধে একমাত্র ওষুধ দেখা, শোনা এবং আসন্ন খারাপের বিরুদ্ধে কথা বলা।"
ট্যুইটে তিনি আরও লিখেছেন, "স্বাধীনতা এবং মুক্তির জন্য দয়া করে নিজেদের আওয়াজ জোরদার করুন"।
গত সপ্তাহে ১৯৫২ সালের সিনেমাটোগ্রাফ আইনের সংশোধনী খসড়া বিলটি প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। আগামী ২ জুলাই গৃহীত হবে বিলটি। তার আগে বিল নিয়ে জনগণের অভিমত জানতে চাওয়া হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গেছে, নতুন এই বিলে ক্ষুব্ধ হয়েছেন একাধিক চলচ্চিত্র নির্মাতা। এই আইনের অপব্যবহারের আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, সংশোধিত এই আইনের ফলে কেন্দ্রের হাতে এমন ক্ষমতা চলে আসবে যাতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, যা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার, তা হুমকির মুখে পড়তে পারে। বিলের বিরুদ্ধে একটি খসড়াও তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন