একটা বড় অঙ্কের টাকা হাতানোর জন্য আরিয়ান খানকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। শাহরুখপুত্র মাদক মামলার কাণ্ডে একের পর এক নয়া তথ্য উঠে আসছে। এবার এমনই অভিযোগ করলেন বিজয় পাগারে নামে এক সাক্ষী। সুনীল পাতিলের নাম তুলে তিনি মামলার তদন্তকারী দলের কাছে এমনই দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, শনিবারই মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ এই মামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি(এনসিপি) ঘনিষ্ঠ সুনীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের ধুলের বাসিন্দা বিজয়ও জেরার সময় সুনীলের নাম করেছেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের।
বিজয়ের দাবি, ২০০৮-এ সুনীলকে কিছু টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা ফেরত পাচ্ছিলেন না। তারপর তিনি সুনীলকে অনুসরণ করে আমদাবাদ, সুরাত এবং মুম্বই গিয়েছিলেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নভি মুম্বইয়ের এক হোটেলে ছিলেন সুনীল। ওই হোটেলেই সাক্ষী কেপি গোসাভির নামেও একটি ঘর বুক করা হয়েছিল।
প্রমোদতরীতে অভিযানের কয়েক দিন আগে ওই হোটেলেই সুনীল, গোসাভির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ মণীশ ভানুশালী। দুজনে কথোপকথন দেখে তিনি বুঝতে পারেন যে কোনও বড় একটি কাজ হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে সঙ্গে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি ঘটনাটি বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেছেন।
বিজয়ের কথায়, ৩ অক্টোবর ফের নভি মুম্বইয়ের সেই হোটেলে আসেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করে বলেন টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। এরপর এনসিবি-র কার্যালয়ে যান। গিয়ে দেখেন, সাংবাদমাধ্যমের ভিড়। তারপরই দেখেন আরিয়ান খানকে আটক করেছে এনসিবি। একটি ভিডিয়ো ক্লিপে দেখেন যে আরিয়ানকে নিয়ে আসছেন মণীশ ও গোসাভি। তখনই তিনি বুঝতে পারেন যে পুরোপুরি পূর্ব-পরিকল্পিত ঘটনা।
আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর কথা শোনা হয়নি বলে দাবি করে বিজয় বলেন, 'প্রমোদতরীতে অভিযান চালানোর আগে সুনীল আমাকে বলেছিলেন একটা বড় কাজ পেয়েছি। আপনার টাকা ফিরিয়ে দেব।' পরদিনই বুঝতে পারেন যে, কীভাবে টাকা এসেছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।