সম্প্রতি আমজাদ খানের পুত্র শাদাব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন। বাবা ( আমজাদ খান) মারা যাওয়ার কয়েকমাস বাদে মধ্যপ্রাচ্যের গ্যাংস্টার ফোন করে বলেন একাধিক বলিউড সিনেমায় তাঁর অভিনয়ের বকেয়া টাকা পড়ে আছে প্রযোজকদের কাছে। প্রায় কয়েক কোটি বকেয়া টাকার কথা বলেন সেই গ্যাংস্টার। তিনদিনের মধ্যে সেই টাকা উদ্ধার করে দেবার আশ্বাস দেন। যদিও সেই টাকা নিতে অস্বীকার করেন তাঁর পরিবার।
৭০ থেকে ৯০ এর দশকে বলিউড ছবিতে একচেটিয়া অভিনয় করে গেছেন আমজাদ খান। তাঁর অভিনীত ভিলেন চরিত্রগুলি সর্বভারতীয় দর্শকদের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল। আমজাদ খানের অভিনীত সিনেমা গুলির মধ্যে ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রমেশ সিপ্পির ছবি 'শোলে' অন্যতম। এই ছবিতে তাঁর অভিনীত 'গব্বর সিং' চরিত্রটি ভারতীয় সিনেমায় অন্য উচ্চতা পেয়েছিল। বলিউড সিনেমায় ভিলেন বললেই আমাদের মনের মধ্যে একটা ছবি ভেসে ওঠে। কঠিন-কঠোর মুখ। ভয়ঙ্কর চাউনি।
পর্দায় দেখতে পাওয়া এই ভয় পাওয়া চেহারার মানুষটি বাস্তব জীবনে কোমল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন। সম্প্রতি মিডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে আমজাদের পুত্র শাদাব খান বলেন, পিতার মৃত্যুর পর তারা অনেক অর্থ কষ্টে ভুগছিলেন। অনেক কষ্টে অতিবাহিত করতে হয়েছে তাদের সংসার। তিনি আরও বলেন তাঁর পিতার জীবিতাবস্থার কথা। স্মৃতির পাতা থেকে তুলে এনে বলেন, তাঁর বাবা মারা যান কেরিয়ারের মধ্য গগনে। তিনি সিনেমায় অভিনয় করে যথেষ্ট উপার্জন করতেন। আবার লোকজনকে দানও করতেন অনেক।
শাদাব আরও বলেন, বাবার কাছে প্রযোজক ও অভিনেতা বন্ধুরা এসে তাদের অর্থকষ্টের কথা বললে আমদাজ তাদেরকে টাকা দিতেন। তিনি ব্যাঙ্কের থেকে বন্ধুদের কাছে টাকা রাখতে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর কজন তাঁর বকেয়া টাকা ফিরিয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন পুত্র শাদাব।
গ্যাংস্টার কর্তৃক এই সাহায্যের আশ্বাস কেন? এ বিষয়ে আমজাদ স্ত্রী শায়লা খান বলেন, তাঁর স্বামী বড় মনের মানুষ ছিলেন, অনেককে তিনি সাহায্য করেছেন। তাই হয়তো তাঁকেও কেউ সাহায্যে করতে চেয়েছেন। সেই গ্যাংস্টারের পরিচয় সম্পর্কে কোনও কথা অবশ্য বলেননি আমজাদের পরিবার। কিন্তু তাঁরা ওই গ্যাংস্টারের সাহায্য নেননি, তৎক্ষণাৎ নাকচ করে দেন সেই প্রস্তাব।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।