
বেআইনি বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে টলিউড অভিনেত্রী মিমির পর এবার দিল্লির ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। সোমবার দিল্লির সদর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন মিমি। টানা নয় ঘণ্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ। মঙ্গলবার হাজিরা দিলেন অঙ্কুশ।
সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লিতে ইডি সদর দফতরে হাজিরা দেন টলিউড অভিনেত্রী তথা যাদবপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। নির্ধারিত সময়েই আইনজীবী ও বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে হাজির হন তিনি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় নয় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি অফিসাররা। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা মিমির কাছে জানতে চান, কোন শর্তে তিনি ওই বেটিং অ্যাপ সংস্থার প্রচারে যুক্ত হয়েছিলেন, আর্থিক লেনদেন কতটা হয়েছিল, চুক্তির মেয়াদ কত দিনের ছিল ইত্যাদি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৮টা নাগাদ দফতর থেকে বের হলেও সাংবাদিকদের প্রশ্নে কোনও মন্তব্য করেননি অভিনেত্রী।
এর পরদিন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় দিল্লির ইডি দফতরে পৌঁছন টলিউড অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। হাতে নথিভরা ফাইল নিয়ে তাঁকে দফতরে ঢুকতে দেখা যায়। মিমির আগেই সমন পেয়েছিলেন অঙ্কুশ। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে নীরব থাকেন তিনি। তাঁর হয়ে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ঐন্দ্রিলা সেন জানান, “এখনই আমরা বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমাদের একটু সময় দিন। সঠিক সময়ে নিশ্চয়ই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলব।”
ইডি সূত্রে খবর, অঙ্কুশের ক্ষেত্রেও মূলত আর্থিক চুক্তি, পারিশ্রমিক, প্রচারের মেয়াদ এবং অ্যাপ সংস্থার সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে।
বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একের পর এক তারকাকে তলব করছে ইডি। মিমি ও অঙ্কুশ ছাড়াও এই মামলায় বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রৌটেলাকেও সমন পাঠিয়েছে ইডি। মঙ্গলবারই তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, এর আগে এই মামলায় সমন গিয়েছিল প্রাক্তন ক্রিকেটার সুরেশ রায়না ও শিখর ধবনের কাছেও। গত ৪ সেপ্টেম্বর শিখরকে প্রায় আট ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে রেকর্ড করা হয় তাঁর বয়ান। রায়নাকেও এর আগেই জেরা করেছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, খুব শীঘ্রই আরও কয়েকজন জনপ্রিয় তারকাকে তলব করা হতে পারে।
ইডি সূত্রে অভিযোগ, বিভিন্ন বেআইনি অনলাইন বেটিং অ্যাপ কোটি কোটি টাকা আয় করেছে কিন্তু তার উপযুক্ত কর দেয়নি। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই অ্যাপগুলির প্রচারে যুক্ত ছিলেন বেশ কিছু তারকা। তারাই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সাহায্য করেছেন। যার বিনিময়ে মোটা টাকা নিয়েছেন। তাই প্রতিটি তারকার কাছ থেকেই তাঁদের চুক্তি, আর্থিক লেনদেন ও প্রচার কার্যকলাপ সম্পর্কিত সমস্ত নথি সংগ্রহ করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন