"যখন আমরা কর্মসংস্থানের কথা বলেছি, তখন ওঁরা বলেছেন ধর্মস্থানের কথা। আমরা যখন সস্তায় বা বিনামূল্যে জনগণকে রেশন দেওয়ার কথা বলেছি, তখন ওঁরা চাল চুরিতে ব্যস্ত ছিল। আমরা যখন ১০০ দিনের কাজকে বাড়িয়ে ১৫০ দিন বা ২০০ দিন করার দাবি তুলেছি, তখন রাজ্য ও কেন্দ্র সমঝোতা করে ভুল হিসেবে দেখিয়ে ১০০ দিনের কাজের টাকা লুঠ করেছে। আমফানে যখন গোটা রাজ্য বিধ্বস্ত, আমরা সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকার্যে নেমেছিলাম, তখনও ওরা ত্রিপল চুরিতে ব্যস্ত ছিল। এখনও যখন অযোধ্যা পাহাড় দাবানলের আগুনে জ্বলছে, আমাদের যুবরা তা নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। অথচ রাজ্য সরকারের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি, ফায়ার ব্রিগেডকেও নয়। আজ রাজ্য সহ গোটা দেশে যে সাম্প্রদায়িকতার আগুন লেগেছে, তার বিরুদ্ধে ঐক্যের জন্যই আমরা পথে নেমেছি।" প্রথমদিন প্রচারে বেরিয়েই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হুগলির চন্ডীতলা থেকে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। শনিবার সকালে জনাইয়ের পঞ্চবটি এলাকা থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। প্রচারের মাঝেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বর্তমান রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এই বিধানসভার বিদায়ী বিধায়ক গত পাঁচ বছরে এলাকার কোনো উন্নয়ন করেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, "এই এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়ে যাঁরা বিধানসভা এবং সংসদে গিয়েছিলেন, তাঁরা শুধু নিজেদের ফুলে ফেঁপে ওঠার ব্যবস্থাই করেছন। কলকাতার উপকন্ঠে অবস্থিত এই চন্ডীতলা বিধানসভা, অথচ কলকাতার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সেরকম উন্নত নেই। পানীয় জলের তীব্র সমস্যা এখানে। সরস্বতী নদী সহ সমস্ত খাল এখানে মজে গেছে। সেগুলো সংস্কার করা হয়নি। যারা পুকুর চুরি করছে তারা কি করে এই নদী-খাল সংস্কার করবে?"
সেলিমের প্রতিশ্রুতি - তাঁরা ক্ষমতায় এলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি সরস্বতী নদী, সমস্ত খাল-বিল সংস্কার করা হবে। পানীয় জলের সমস্যা দূর করা হবে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি করা হবে। সর্বোপরি শিল্পায়ন-কর্মসংস্থান হবে। সব হাতে যেন কাজ থাকে। তাঁর কথায়, এই দাবিতেই সংযুক্ত মোর্চার সমস্ত প্রার্থীরা লড়ছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।