হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে আজও বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় গতকাল। পুলিশকে রীতিমত হিমসিম খেতে হয়েছে সেই বিক্ষোভ সামাল দিতে। এমনকি মুকুল রায় ও অর্জুন সিংকে কার্যালয়ে ঢুকতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। আজ সকাল হতেই আবার বিক্ষোভ শুরু হয় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনা থেকে কর্মীরা হাজির হয় বিজেপির কার্যালয়ে।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ- প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ করা হয়েছে। ক্যানিং পশ্চিমে প্রার্থী বাছাই এর ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সরব সেই কেন্দ্রের কর্মী সমর্থকেরা। ক্যানিং পশ্চিমের প্রার্থী অর্নব রায় মাত্র ২৬ দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েই টিকিট পেয়ে গেছেন। ব্রাত্য রয়ে গেছেন পুরানো কর্মীরা। একইভাবে- মগরাহাট পশ্চিমের প্রার্থী চন্দন নস্করকেও মেনে নিতে পারছেন না সেখানকার বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি কুলপি, মন্দিরবাজার কেন্দ্রের প্রার্থীদেরও পছন্দ নয় একাংশের কর্মীদের। রায়দীঘি কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী শান্তনু বাপুলি। যিনি বর্তমানে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য এবং তাঁর আর একটা পরিচয় পূর্বতন কংগ্রেসের বিধায়ক সত্যরঞ্জন বাপুলির পুত্র। তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে রাতারাতি বিজেপিতে যোগ দেন এবং সাথেসাথেই বিজেপির টিকিট পেয়ে যান। এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা।
গতকাল এই বিষয়ে রাতভোর দফায় দফায় বৈঠক করেন অমিত শাহ। কিন্তু সমস্যার সমাধান এখনও অধরা। এখনও কোথাও প্রচারে নামেনি বিজেপি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা বারবার যখন ২০০ আসন জেতার দাবি করছেন সেই পরিস্থিতিতে এই কর্মী বিক্ষোভ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য বিজেপির।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।