
রাজ্যে প্রথম দফার ভোটে ৩০ আসনে সন্ধ্যে সাড়ে ছটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৯.৭৯ শতাংশ। এদিন ভোটগ্রহণ হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। এদিনের ভোটযুদ্ধে ময়দানে মোট প্রার্থী আছেন ১৯১ জন। নির্বাচন কমিশনের ভোটার টার্ন আউট অ্যাপ অনুসারে সন্ধ্যে সাড়ে ছটা পর্যন্ত বাঁকুড়ায় ভোট পড়েছে ৮০.০৩%, ঝাড়গ্রামে ৮০.৫৫%, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৮০.১৬%, পূর্ব মেদিনীপুরে ৮২.৪২% এবং পুরুলিয়াতে ৭৭.১৩%।
বাঁকুড়ার ছাতনায় ৭৮.৬৫%,
রায়পুরে ৭২.৪৫%,
রানীবাঁধে ৮৩.২৬% এবং
শালতোড়াতে ৮৫.২৫%।
ঝাড়গ্রামের বিনপুরে ৮০%,
গোপীবল্লভপুরে ৮২.৭০%,
ঝাড়্গ্রামে ৮০.৫০% এবং
নয়াগ্রামে ৭৯%।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে ৮০.৩০%,
গড়বেতায় ৮২.৩৭%,
কেশিয়ারিতে ৭১.৬৩%,
খড়্গপুরে ৮৩.২৯%,
মেদিনীপুরে ৮১.১৪% এবং
শালবনীতে ৮২%।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে ৮৩.১৬%,
এগরাতে ৭৮.৫২%,
কাঁথি দক্ষিণ ৮৩.৭৬%
কাঁথি উত্তর ৮৩.১২%,
খেজুরীতে ৮৪.৪৩%,
পটাশপুরে ৮১.৩০% এবং
রামনগরে ৮৩.২৫%।
পুরুলিয়ায় বাঘমুন্ডিতে ৭৮.২২%,
বলরামপুরে ৭৭,৫%,
বান্দোয়ানে ৭৯.৮%,
জয়পুরে ৭৫.৩৩%,
কাশিপুরে ৭৫.০৬%,
মানবাজারে ৭৮.১৩%,
পারাতে ৭৫.১২%,
পুরুলিয়াতে ৭৫.৩৩%,
রঘুনাথপুরে ৭৯.১২%।
এদিনের ভোট নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ এসেছে বিরোধীদের তরফে। পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য ভাবে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ এসেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এত শান্তিপূর্ণ ভোট আগে রাজ্যে কখনও হয়নি। এদিনই বিকেলে বামেদের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যান।
নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার পর বাম প্রতিনিধিদলের নেতা তথা সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব এদিন সাংবাদিকদের জানান – আমরা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলাম মুখ্য নির্বাচন কমিশনার যে কথা বলেছিলেন তা না পূরণ করা হলে কী হতে পারে। আজ সকাল থেকে জঙ্গলমহলে যা হয়েছে তা নিয়ে একাধিক অভিযোগ আছে। আমরা ওই অঞ্চলে ২১টি বুথে পুননির্বাচন দাবি করছি। আমাদের স্পষ্ট অভিযোগ অবজারভাররা, সেক্টর অফিসাররা যারা আজ তাঁদের দায়িত্ব পালন করেননি তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেটা আমাদের জানা দরকার। খেজুরীতে দুটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসাররা ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন। এগুলো আমরা নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। বহু জায়গায় ভোটারদের বাধা দেওয়া হয়েছে। এত সেন্ট্রাল ফোর্স থাকা সত্ত্বেও ভোট নির্বিঘ্নে হয়নি। বলরামপুরে সেন্ট্রাল ফোরস ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। একজন সিকিউরিটি অফিসারের কাছ থেকে বিজেপির পোলিং এজেন্টের ফোন নাম্বার পাওয়া গেল। এটা স্পষ্ট যে, নিরাপত্তা কর্মীরা যদি এসে কোনো দলের পক্ষে কাজ করেন তাহলে সেটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন