নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গভীর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিলেন। সেটাই মিলে গিয়েছে। আসলে তৃণমূল-বিজেপি দুই পক্ষই গদ্দারি করেছে। সোমবার সিপিআই(এম)’র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সোনারপুরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে এভাবেই তোপ দাগলেন। তাঁর কথায়, তৃণমূল আর বিজেপি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
গতকালের সভায় তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে সূর্যকান্ত বলেন, এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, যা করার বাপ-ছেলে করেছে। আর বাপ-ছেলে বলছেন, যা করার মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। যদিও তাঁরা তখন একই দলে ছিলেন। আসলে এরা দুই পক্ষই গদ্দার, মানুষের সঙ্গে গদ্দারি করেছে। শুধু নন্দীগ্রামের ঘটনার সময় নয়, এখনও বিজেপি-তৃণমূল হাত মিলিয়ে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সহ সংবিধানের প্রস্তাবনার প্রতিটি শব্দের সঙ্গে গদ্দারি করে চলেছে।
সোমবার গড়িয়া স্টেশনের পাশে সি ৫ বাসস্ট্যান্ডে সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চার সিপিআই(এম) প্রার্থী মোনালিসা সিনহার সমর্থনে সভা হয়। সেখানে ভাষণ দেন সূর্য মিশ্র, প্রার্থী মোনালিসা সিনহা, সিপিআই(এম) নেতা কমল গাঙ্গুলি।
তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব থেকে বড় অপরাধ, বিজেপি’কে এরাজ্যে মাটি তৈরি করে দেওয়া। স্বাধীনতার পরে বিজেপি এখানে দাঁত ফোটাতে পারেনি।
মিশ্র বলেছেন, তৃণমূল রুখতে পারবে না বিজেপি’কে। আজ যে তৃণমূল, কাল সে-ই বিজেপি। তৃণমূলের সারদা-নারদের মুখরা আজকে বিজেপি’র প্রার্থী। পশ্চিমবঙ্গে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। এখন তা দ্বিমুখী-সংযুক্ত মোর্চা বনাম বিজেমূল। যে কটি আসনে প্রথম দফায় ভোট হয়েছে, তার মধ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি সুবিধা অনুযায়ী পরস্পরকে আসন ছেড়েছে।
তাঁর গতকালের বক্তব্যে কেন্দ্রকে দুষে বাম নেতা বলেন, গোটা লকডাউনে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে। আর ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী হয়েছে আম্বানি আদানিদের সম্পদের পরিমাণ। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন তুলে দিয়ে মজুতদারদের পথ খুলে দিয়েছে মোদি সরকার। ফলে লাগামছাড়া হারে দাম বাড়লেও সরকার কিছু করবে না। সোনারপুর কৃষক আন্দোলনের মাটি, তেভাগার মাটি। সোনারপুরের মানুষ এর নিশ্চিতভাবে জবাব দেবেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।