
বেশি বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে। বরানগরে ভোটের প্রচার করতে এসে শীতলকুচি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য বিতর্ক বাড়িয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। দিলীপ ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের বক্তব্য - দিলীপ ঘোষ মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। নাহলে ভোটের সময় এমন কথা কেউ বলতে পারেন না। আর কমিশন যে বিজেপির হয়ে কাজ করছে, তা তো স্পষ্ট।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'এত দুষ্টু ছেলে কোথা থেকে এল? ওই দুষ্টু ছেলেরা থাকবে না বাংলায়। সবে শুরু হয়েছে, এটা সারা বাংলায় হবে। যাঁরা ভেবেছেন বাহিনী বন্দুকটা দেখানোর জন্য এনেছে, (তাঁদের বলি) বাহিনী শুধু বন্দুকটা দেখাতে আসেনি। কেউ যদি আইন হাতে নিতে আসে তাঁকে যোগ্য জবাব দিতে হবে।'
আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফার ভোট। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, '১৭ তারিখে ভোট দিতে যান, বাহিনী থাকবে। ভোট দিতে না পারলে আমরা আছি। শীতলকুচিতে কী হয়েছে দেখেছেন তো? বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'
প্রসঙ্গত, শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে মাথাভাঙার ১২৬ নম্বর বুথে আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে নির্বাচন কমিশন প্রচার শেষের নিয়ম বদল করে।
শনিবার ভোট মেটার পর থেকে ৭২ ঘণ্টা কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীর কোচবিহারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আজই কোচবিহার মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার কথা ছিল। তাও বাতিল করতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনাকে 'গণহত্যা' বলে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশনের দিকে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি তাঁর হুশিয়ারি, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যই তার যাওয়া আটকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি চতুর্থ দিনই যাবেন। মমতা জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারের দায়িত্ব সম্পূর্ণ তাঁর। ১৪ তারিখ দেখা করার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কমিশনের নির্দেশিকা নিয়েও।
যদিও ওই ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর 'উস্কানি'তেই হয়েছে বলে গতকাল রাজ্যে প্রচারে অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শীতলকুচির ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন