

আজ আরও একদফা ঘর ভাঙছে তৃণমূলের। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে একাধিক পর্বের নোটিফিকেশন জারি হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত দলবদল থামার কোনো লক্ষণ নেই। একদিকে যখন চলছে জোরদার দলবদল তখন অন্যদিকে নিজের পুরোনো দল ফরওয়ার্ড ব্লকে ফিরতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন নলহাটির বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক মইনুদ্দিন শামস। তাঁকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে দলবদল। বর্তমান দলবদলের রাজনীতিতে যা অবশ্যই এক বিশেষ বার্তা বহন করে।
সূত্রের খবর, সোমবার তৃণমূল ছেড়ে একঝাঁক নেতা নেত্রী যোগ দেবেন বিজেপিতে। সেই তালিকায় থাকতে পারে বেশকিছু চমকও। যেমন মালদার হবিবপুর থেকে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলো সরলা মুর্মুর নাম। যদিও নিজের আসন পছন্দ না হওয়াতে তিনি দলবদল করে বিজেপিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। তড়িঘড়ি ওই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে প্রদীপ বাস্কের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। যদিও প্রার্থী বদলের কারণ হিসেবে অসুস্থতার উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মালদার বেশ কিছু প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা প্রবল।
এদিনই তৃণমূলের চারবারের বিধায়ক সোনালী গুহ বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও দল বদলে বিজেপিতে যোগ দেবার সম্ভাবনা ২০১৬ নির্বাচনে জোট প্রার্থী হিসেবে জিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাঁকুড়ার শম্পা দরিপার। এবার তিনি মনোনয়ন পাননি।
দলবদলের বাজারে সবথেকে উল্লেখযোগ্য নাম প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর স্ত্রী প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্র। সূত্র অনুসারে আজই তিনি যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। শিখা মিত্র তৃণমূলে যোগ দিলে সম্ভবত তাঁর পুত্র রোহন মিত্রও সেই পথেই হাঁটবেন। ইতিমধ্যেই তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ট্যুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এছাড়াও তালিকায় আছেন তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য দীনেশ বাজাজ। নাম আছে টিকিট না পাওয়া স্মিতা বক্সীরও।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন