তৃণমূলের মনোনয়ন না পেয়ে এবার ফেসবুকে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এদিন দীপেন্দু লেখেন “দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছরের রাজনৈতিক লড়াইয়ে একবার বাদে প্রতিবার ভোটের লড়াইয়ে দলকে জিতেয়েছি। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সর্বক্ষণ। আমার ব্যবহারে কেউ দুঃখ পেলে ক্ষমা করবেন।”
শুক্রবার দুপুরে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীরা একের পর এক নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এঁদের মধ্যে কেউ কেঁদে ফেলেছেন, কেউ দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন আবার কেউ কিছু বলতেই রাজী হননি। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ, দলীয় অফিস ভাঙচুরের মত ঘটনাও ঘটেছে।
এবার প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৬৪জন বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাদ গেছেন দেবশ্রী রায়, মালা সাহা, স্মিতা বক্সী, সোনালী গুহ, আরাবুল ইসলাম, মইনুদ্দিন শামস, জটু লাহিড়ী, ব্রজমোহন মজুমদার, শীতল সর্দার, রফিকুর রহমান, মণীশ গুপ্ত, অমল আচার্য, আবদুল রেজ্জাক মোল্লা, নার্গিস বেগম, হিতেন বর্মণ, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, চূড়ামণি মাহাতো, শম্পা দরিপা, গোবিন্দ নস্কর প্রমুখ।
আবার একই পরিবারের স্বামী স্ত্রী, বাবা ছেলে প্রার্থী হয়েছেন এরকম নজিরও আছে। যেমন সিঙ্গুর থেকে প্রার্থী হয়েছেন বেচারাম মান্না এবং তাঁর স্ত্রী প্রার্থী হয়েছেন হরিপাল থেকে। অন্যদিকে শঙ্কর সিং এবং তাঁর ছেলে শুভঙ্কর সিং প্রার্থী হয়েছেন যথাক্রমে রাণাঘাট এবং চাকদহ থেকে। দুলাল দাস এবং তাঁর মেয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছেন মহেশতলা এবং বেহালা পূর্ব থেকে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।