
এবার ক্ষোভের সুর চাকদা বিধানসভার বিদায়ী বিধায়ক রত্না ঘোষ করের মুখে। শুক্রবার তৃণমূলের ২৯১ আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়। তারপর থেকে দেখা যাচ্ছিল যাঁরা টিকিট পাননি বা টিকিটের দাবিদার ছিলেন, তাঁরাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অথবা অন্য দলে পা বাড়িয়েছেন। টলিউডের একাধিক তারকাকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। সেই নিয়েও শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা।
ইতিমধ্যে মমতা ব্যানার্জির দীর্ঘদিনের সঙ্গী সোনালি গুহ সহ পাঁচ বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ক্ষোভের সুর আরাবুলের মুখেও। আবার মালদার হাবিবপুরের প্রার্থী সরলা মুর্মু টিকিট পেয়েও আসন পছন্দ না হওয়ায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে তৃণমূলকে অন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে হয়েছে।
রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ কর এবারের ভোটে টিকিট পাননি। তাঁর বদলে চাকদা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়েছেন – শঙ্কর সিংহের ছেলে শুভঙ্কর সিংহ। টিকিট না পেয়ে অপমানিত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন রত্না ঘোষ কর। তিনি বলেন- “দলের এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছি। চাকদা থেকে এমন একজনকে প্রার্থী করা হল যার রাজনীতির সাথে তেমন কোনো যোগাযোগই নেই। দল একবার আমাকে বলতে পারতো – আমাকে এবারে প্রার্থী করা হবে না”।
তিনি আরও বলেন- “কী এমন অপরাধ করেছি যে আমাকে প্রার্থী করা হল না। দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি। যখন সিপিএম এর ভয়ে কেউ বেরতে পারতো না সেই সময় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করেছি। আমরা যারা পুরানো কর্মী তাদেরকেই দল ব্রাত্য করে দিল”।
অভিমানের সুর রত্না ঘোষ করের গলায়। তিনি বলেন- “আমি আর তৃণমূল কংগ্রেস করব না। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-এর কাছে আজই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেব। তবে তৃণমূল কংগ্রেস না করলেও রাজনীতির মঞ্চ ছাড়ছি না। ময়দানেই থাকবো”। যদিও তিনি বিজেপি বা অন্য কোনো দলে যোগ দিচ্ছেন কিনা সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন