
গত শুক্রবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফার নির্বাচনে আর এক মাসও বাকি নেই। কিন্তু এখনও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি কোনো দলই। সূত্রের খবর, আগামী ৮ মার্চ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বামফ্রন্ট। এদিন প্রথম দু'দফার ৬০টি আসনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৯ মার্চ প্রথম দফার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।
আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, এবারের প্রার্থী তালিকায় তারুণ্যের ওপর জোর দিচ্ছে বামফ্রন্ট। হেভিওয়েট নেতার পাশাপাশি একধিক নতুন মুখও তালিকায় রাখছে তারা। যেমন - শালবনি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। আদিবাসী নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম লড়তে পারেন রানিবাঁধ কেন্দ্র থেকে। যাদবপুর থেকে সুজন চক্রবর্তী, কামারহাটিতে মানস মুখার্জি এবং চন্ডীতলায় প্রার্থী হচ্ছেন মহম্মদ সেলিম।
অপরদিকে নতুন মুখদের মধ্যে থাকতে পারেন সায়নদীপ মিত্র, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ঐশী ঘোষ, দীপ্সিতা ধর। থাকার সম্ভাবনা শতরূপ ঘোষের। প্রার্থী তালিকায় থাকতে পারেন অভিনেতা দেবদূত ঘোষ, টালিগঞ্জ থেকে দাঁড়াতে পারেন তিনি। বরানগরে প্রার্থী হতে পারেন সায়নদীপ মিত্র। দীপ্সিতা ধর প্রার্থী হতে পারেন বালি কেন্দ্রে। দূর্গাপুর পূর্ব থেকে লড়তে পারেন ঐশী ঘোষ। রাজারহাট থেকে লড়ার সম্ভাবনা রয়েছে গৌতম-পুত্র সপ্তর্ষী দেবের। ঝাড়গ্রাম থেকে প্রার্থী হতে পারেন মধুজা সেন রায়। বর্ধমানের পান্ডবেশ্বর বা কুলটি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পাঁশকুড়া থেকে লড়তে পারেন বর্তমান বিধায়ক ইব্রাহিম আলি। ২০১১ ও ২০১৬ সালের মত এবারও কসবা কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে পারেন শতরূপ ঘোষ। বীজপুর বা খড়দহ আসনে প্রার্থী হতে পারেন ছাত্রনেতা দেবজ্যোতি দাস। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর কেন্দ্র নারায়ণগড়ে এবার বাম প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রাক্তন DYFI সাধারণ সম্পাদক তাপস সিনহার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন