আজ বিকেল তিনটে নাগাদ দলের প্রার্থীদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তৃণমূল প্রার্থীদের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। একাধিক এক্সিট পোলের ফলাফল অনুসারে তৃণমূল সরকার গড়তে পারে এই সম্ভাবনা দেখা দেবার পরেই তৎপরতা বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের দলবদলের হিড়িক পরে যাওয়ার পর এবার জয়ী বিধায়কদের দলে ধরে রাখাও এখন তৃণমূল নেত্রীর কাছে বড়ো চ্যালেঞ্জ।
সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রার্থীদের সঙ্গে মমতা দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। প্রথমত, জেতার পরে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল করে দল বদলে ফেলবেন না। স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে জিতে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাবেন না। দ্বিতীয়ত, আগামী রবিবার কাউন্টিং এজেন্টরা সব বিষয়ে যথাযথ নজর রাখবেন। এক ইঞ্চি ভুল করা যাবে না কাউন্টিং হলে।
এদিকে, রাজনৈতিক মহল মনে করছে তৃণমূল ও বিজেপির প্রাপ্ত আসনের ব্যবধান বেশি নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে তৃণমূলের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, জিতেও প্রলোভনের বশে বিজেপির দিকে পা বাড়াতে পারেন বেশ কিছু জয়ী প্রার্থী। তাঁদের আটকানোই এই বৈঠকের উদ্দেশ্য।
তৃণমূলের অনেকেই মনে করছেন, এক্সিট পোল যাই হোক, তাঁদের জয় নিয়ে সংশয় নেই। অনেক নেতাই বলছেন, তাঁদের ঝুলিতে ১৯০ আসন আসতে চলেছে। আবার অন্য সংশয়ও রয়েছে। ১৭০-এর মধ্যে আসন থাকলে চলতে পারে বিধায়ক কেনাবেচার লড়াই। তাই জয়ের পরে তৃণমূলেই থাকছি, এই বার্তা শুনে নিতে চাইছে জোড়া ফুল। ভোট মেটার পর ফলাফল নিয়ে আগেই সাবধান করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জানিয়েছিলেন কাউন্টিং সেন্টারে যেন যথাযথ নজর রাখা হয়। তার জন্য ডিউটি রোস্টার করা হয়েছিল।
২০১১ বা ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন পর্ব মিটে যাওয়ার পর এবং গণনার আগে তৃণমূলনেত্রী এরকম কোনও বৈঠক করেননি। এবারের ভোটে ২৯১ জন তৃণমূল প্রার্থী লড়াই করছেন। কিন্তু জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, খড়দার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ করোনা আক্রান্ত হয়ে সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। বাকি ২৮৯ জন প্রার্থীর ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির থাকার কথা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।