২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামের ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ইমদাদুল হক। তাঁর মা ফিরোজা বিবি। এবারও বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন। তিনি পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে সরাসরি বাপ-বেটা অর্থাৎ শিশির অধিকারী এবং শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আঙুল তুলেছেন। পাল্টা তাঁরাও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ওই কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। এই প্রেক্ষিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন বিবৃতি দিয়ে। কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটেছেন ওই ঘটনায় নিহতের মা ফিরোজা বিবি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলেও বিষয়টি নিয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি।
এমনিতেই এই কেন্দ্রে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাঝে মাঝে প্রকাশ্যে চলে আসে। পাঁশকুড়া মাইসোরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল নেতা কুরবান শাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুরবান শা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
এদিকে, বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীকে আনিসুরের প্রশংসা করতে শোনা যায়। তাঁর কথায়, অনিসুরকে অন্যায় ভাবে জেল খাটানো হচ্ছে। তিনি খুবই ভালো মানুষ। নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে মমতাকে সাহায্য করেন আনিসুর। এতে সমস্যা বাড়ে। মাইসোরা অঞ্চল, পাঁশকুড়া পুরসভা-সহ বিভিন্ন এলাকার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
বিদায়ী বিধায়ক ফিরোজা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ নির্বাচনে জয়লাভের পর ফিরোজাকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। তেমন কোনও উন্নয়নও হয়নি এলাকায়। কোনও সার্টিফিকেট দরকার হলে সমস্যায় পড়তে হয় মানুষকে। বেআইনি বালি খাদান, সরকারি জমি দখল নিয়ে এই এলাকা বারবার খবরে উঠে এসেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই এলাকার মানুষদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়নি তৃণমূল। এমনটাই অভিযোগ। এই মাইসোরা এলাকায় এক সিপিআইএম কর্মীকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট দেওয়ায় তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দরিদ্র, সংখ্যালঘু, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি এখানে।
এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের ফিরোজা বিবির বিরুদ্ধে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে সিপিআই প্রার্থী হয়েছেন চিত্তরঞ্জন দাশঠাকুর।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।