রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত। কিছুক্ষণ আগেই এক ট্যুইট বার্তায় তিনি সেকথা জানিয়েছেন। এর আগে সংবিধানের নিয়ম ভেঙে রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপি-র প্রার্থী হয়ে ভোট লড়তে নেমে ভুল করেছেন বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
যে বিষয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো স্বপন দাশগুপ্ত কোনো আইন ভঙ্গ করেননি। কারণ প্রথমত, বিজেপি-র প্রার্থী হিসেবে স্বপনের নামই ঘোষিত হয়েছে মাত্র। তিনি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেননি। দ্বিতীয়ত, বিজেপি-র প্রার্থী হিসেবে সরকারিভাবে মনোনয়ন জমা না দেওয়া পর্যন্ত স্বপন কোনও আইন ভাঙেননি। তৃতীয়ত, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে স্বপন রাজ্যসভার সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দিলে তাঁর সাংসদপদ বাতিল হওয়ারও প্রশ্ন থাকে না।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে তারকেশ্বর আসনে দলীয় প্রার্থী করেছে বিজেপি। রবিবার ওই প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্বপনের সাংসদপদ বাতিলের দাবি তোলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া।
নেটমাধ্যমে মহুয়া দাবি করেন, সংবিধানের দশম তফসিল অনুযায়ী স্বপন ভোটে দাঁড়াতে পারেন না। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যসভার কোনও ‘মনোনীত সদস্য’ সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার ৬ মাস পর কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মহুয়া একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'বাংলার নির্বাচনে স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপি প্রার্থী। সংবিধানের দশম তপসিলে বলা রয়েছে, রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সদস্য শপথগ্রহণ করার ৬ মাস পর যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁর সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। স্বপন শপথ নিয়েছিলেন ২০১৬-র এপ্রিলে। এখনও কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার জন্য এখনই তাঁর সদস্যপদ বাতিল করতে হবে'।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।