
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন ৫ টি রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, আসাম, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ু - প্রতিটি রাজ্যেই রাজনৈতিক সমীকরণ আলাদা আলাদা। বাংলায় সিপিআইএম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোট। উল্টো দিকে কেরলে বামেদের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। আবার তামিলনাড়ুতে ডিএমকে জোটে কংগ্রেস ও বামেরা সামিল। আসামে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মহাজোটে বামেরা আছে।
সম্প্রতি এই বিষয়ে ডেকান হেরাল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন- “পশ্চিমবঙ্গ, কেরল এবং ত্রিপুরাতে আমরা শেষ ৩০ বছর কংগ্রেসের সাথেই লড়াই করেছি। লক্ষ্য করুন ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে বামপন্থীদের যে ৬১ জন সাংসদ ছিলেন – তাঁদের মধ্যে ৫৭ জন কংগ্রেসকে হারিয়ে জিতেছিল। কিন্তু আমরা মনমোহন সিং এর সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন করেছিলাম - কারণ বিজেপিকে ঠেকাতে। এবং আসন্ন ৫ রাজ্যের বিধানসভাতেও আমরা সেই ভূমিকা পালন করব”।
সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদকের মতে - বাংলায় ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮ টা আসন জিতেছিল, কারণ বাম-কংগ্রেস আলাদা আলাদা লড়েছিল। তাই তৃণমূল বিরোধী ভোটার যথেষ্ট বিকল্প না পেয়ে বিজেপিকে ভোট দিতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ এর ভোটে সম্পূর্ণ আলাদা পরিস্থিতি। শুধু বাম কংগ্রেস নয় এবার “ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট”ও জোটে সামিল। সংযুক্ত মোর্চা বিকল্প শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে। তিনি বলেন-“বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে”। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে যদি কোনো পক্ষই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় সেক্ষেত্রে কী সংযুক্ত মোর্চা তৃণমূলকে সমর্থন করবে? প্রশ্নের উত্তরে ইয়েচুরি বলেন- “তৃণমূল, বিজেপির সাথে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এর আগে বাংলায় তারা একসাথেই ছিল। তৃণমূলের হাত ধরেই বাংলায় বিজেপির অনুপ্রবেশ। এনডিএ সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছে এই তৃণমূল। সুতরাং বিজেপি-তৃণমূলের জোট হয়ে যেতে পারে”।
সাধারণত কেরলে পাঁচ বছর অন্তর সরকার পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিন্তু এবার কেরলে বামেরা আবার ক্ষমতায় আসবে, সেই বিষয়েও তিনি একপ্রকার নিশ্চিত। ইয়েচুরি বলেন- “সদ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের বিপুল জয়ই বলে দিচ্ছে পিনরাই বিজয়নের সরকারকেই আবার চান কেরলবাসী। করোনা মহামারীকে সামাল দেওয়া, একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগকে অসাধারণ দক্ষতায় সামাল দিয়েছে কেরল সরকার”। সদ্য পিনরাই সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সোনা পাচারের অভিযোগকেও একপ্রকার নস্যাৎ করে বলেন - “ঠিক নির্বাচনের আগে বিজেপির এটাই কৌশল। বিজেপির ত্রিশুল এখন - সিবিআই, ইডি আর টাকার জোর”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন