WB Election 21: 'বহিরাগত' সায়নী ঘোষকে নিয়ে আসানসোলের তৃণমূল কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ

বাইরের নয়, স্থানীয় কাউকে প্রার্থী করতে হবে। এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ঘটনাস্থল আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী দলে সদ্য যোগ দেওয়া সায়নী ঘোষ।
সায়নী ঘোষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সায়নী ঘোষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ফাইল ছবি ট্যুইটারের সৌজন্যে
Published on

বাইরের এলাকার নয়, স্থানীয় কাউকেই প্রার্থী করতে হবে। এমনই দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ঘটনাস্থল আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র। এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন দলে সদ্য যোগ দেওয়া অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। শুক্রবার দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা যায় তিনি এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ এলাকার দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মীরা। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁরা। তাতে লেখা, 'সায়নী ঘোষ বহিরাগত, এবার ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করতে হবে।' আসানসোল ও বার্নপুরে দলের প্রার্থী বিরুদ্ধে একযোগে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের মাইনরিটি সেল, শিক্ষা সেলের সদস্য ও ছাত্র-যুবকর্মীরা।

প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর দেখা গিয়েছে যে তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন মন্ত্রী, বিধায়ক এবং প্রবীণরা। যাঁরা ভেবেছিলেন টিকিট পাবেন, তাঁদের অনেকেই টিকিট পাননি। সেই জায়গায় স্থান পেয়েছেন টলি জগতের সেলিব্রিটিরা। যাঁরা নতুন টিকিট পেয়েছেন তাঁদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছে দলের অন্দরে। নিচুতলার কর্মীরা শামিল হয়েছেন তাতে। রাজ্যজুড়ে সর্বত্রই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আসানসোলও ব্যতিক্রম হল না।

প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে বিজেপির 'জয় শ্রীরাম' স্লোগানের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সায়নী ঘোষ বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের সঙ্গে টুইট-যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ২০১৫ সালে শেয়ার করা একটি মিম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে ট্রোল করা হয়। তারও আগে অনীক দত্তের ছবির প্রদর্শন বন্ধ করা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। যাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র লেখেন – ‘তুইও বিক্রি হয়ে গেলি’।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, সায়নী ঘোষ বহিরাগত, তাঁকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্রকে প্রার্থী করতে হবে। লোকসভা ভোটে দোলা সেন হেরে গিয়েছেন। মুনমুন সেনও হারেন। বিদায়ী মেয়র পারিষদ লক্ষণ ঠাকুর ও প্রাক্তন বিধায়ক সোহারাব আলিকে প্রার্থী করার দাবিতেও জানানো হয়।

এই ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কপালে। তবে এই বিক্ষোভ হওয়ারই ছিল বলে মানছেন শাসকদলের বিদায়ী বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ব্লক সভাপতি লক্ষ্মণ ঠাকুর।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in