বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে দলে সেলিব্রিটিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নাম লেখানো হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। সবারই এক কথা, তাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চান। বর্তমানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে গোটা দেশ তথা রাজ্য চরম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উদ্বেগ, আতঙ্কে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। এই পরিস্থিতিতে সেলিব্রিটিরা যে সাধারণ মানুষের পাশেই আছেন সত্যি সত্যি, তার প্রমাণ চাইলেন আমজনতাই।
প্রকাশ করা হোক সেই সেলিব্রিটিদের ফোন নম্বর, যাতে সহজেই সাধারণ মানুষ তাঁদের সঙ্গে যেকোনও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন। তার জেরে কোনওভাবে প্রকাশ্যে চলে এসেছে সেলেবদের ফোন নম্বর। আর আসতে শুরু করেছে একের পর এক ফোন। একটা, দুটো নয়, প্রায় হাজার দশেক ফোনের জ্বালায় জর্জরিত ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তী। বাম শিবির থেকে নাকি তাঁর নম্বর ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এমনটাই অভিযোগ করে আপাত মোবাইল ফোনটি বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
একটি ফেসবুক পোস্টে পরিষ্কার লেখা হয়েছে, যাঁরা যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করবেন কিন্তু করে উঠতে পারছিলেন না বলে অনুযোগ করছিলেন, তাঁদের ফোন নম্বর-সহ সমস্ত ডিটেলস ছড়িয়ে দেওয়া হোক। এমন সুযোগ তো কেউ পাবেন না। বিপদে-আপদে তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন, দেখুন কেমন সাড়া পাওয়া যায়। তুলকালাম করে দিন। সেই তালিকায় দেখা গেল রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, জুন মালিয়া, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয় এবং পার্নো মিত্রদের মতো তৃণমূল-বিজেপির তারকা প্রার্থীদের নাম ও ফোন নম্বর।
রাজের দাবি, বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে খবর পেয়েছেন সিপিএমের কোনও সদস্যই নাকি এটা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, শিক্ষিত রুচিশীল দল কীভাবে এই কাজ করতে পারে? তৃণমূলপ্রার্থীর অভিযোগ, ইন্ডাস্ট্রির অনেকে এমন কাজকে সমর্থন করছেন। এরই মধ্যে বিতর্ক বাড়িয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তাতে লেখেন, কোভিড সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় পড়লে রেড ভলান্টিয়ার্সয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। প্রসঙ্গত, রেড ভলান্টিয়ার্স হল বামেদের যুবসংগঠন। অর্থাৎ কোনও সমস্যায় পড়লে বামেদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, তেমনটাই বলতে চেয়েছেন তিনি। যদিও সেটি এখন ডিলিট করে দিয়েছেন তিনি।
পরিচালক ইন্দ্রাশীষ আচার্যের ফেসবুকেও ছিল প্রার্থীদের নম্বর-সহ ওই পোস্ট। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাবুল সুপ্রিয় ও পার্ণো মিত্র করোনায় আক্রান্ত। তাই আপাতত তাঁদের ছাড় দেওয়া হোক। অবশ্য শেষপর্যন্ত ওই পোস্টটি ডিলিট করে দেন তিনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।