
৮ এপ্রিল, রায়গঞ্জ- একুশে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভে অনেকেই ঘাসফুল ছেলে পদ্মফুলের যোগ দিয়েছিলেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য। দু'বারের বিধায়ক তৃতীয়বারও টিকিট পাবেন বলে আশাবাদী ছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এবার আর টিকিট পেলেন না তিনি। সেই ক্ষোভেই তৃণমূল ছাড়লেন তিনি।
রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর হাত থেকে বিজেপির পতাকা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলেন অমল আচার্য। ফলে উত্তর দিনাজপুর বড়সড় ভাঙন ধরল তৃণমূলে। তাঁর সঙ্গেই গেরুয়া শিবিরে গেলেন শাসকদলের ব্লক সভাপতি ও কর্মীদের একাংশও। ২০১১-র পর ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে ইটাহার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিধায়ক হয়েছিলেন অমল আচার্য। কিন্তু এবারের ভোটে তাঁকে আর প্রার্থী করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকিট পেয়েছেন জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মুশারফ হোসেন। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অমল আচার্য। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলে খবর। ফলে তখন থেকেই বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা, তা নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল অতটা গুরুত্ব দিতে রাজি নন। তাঁর দাবি, ভোটের মুখে অমল আচার্য দল ছাড়লেও কোনও প্রভাব পড়বে না। বিষয়টি রিপোর্ট আকারে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কানাইয়ালাল নিজেই দলবদলের সম্ভাবনা বাড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, পরিস্থিতি এলে আবার রায়গঞ্জবাসীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি কংগ্রেসের টিকিটে বিধায়ক হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন