
আদি এবং নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব ছিলই। এবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই দলীয় কোন্দল আরও প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির। কয়েকটি আসন বাদে সব কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। তাতে স্থান পেয়েছে বেশকিছু তৃণমূল ত্যাগী হেভিওয়েট নাম। এই তালিকা প্রকাশের প্রথম থেকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে একটা চাপা অসন্তোষ ছিলই। ক্রমশ তা বেড়েছে। জেলাজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে। হেস্টিংসে বিজেপির দফতরও বিক্ষোভের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। বিক্ষোভ পরিস্থিতি প্রশমনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য নেতাদের ডেকে ভর্ৎসনা করেন। তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার আরামবাগে এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেন, প্রার্থী নিয়ে কোথাও কোনও অসন্তোষ নেই।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গুরে দলীয় প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের প্রার্থীপদ বাতিলের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন বিজেপির আটজন স্থানীয় সংগঠনের পদাধিকারী। তাঁদের দাবি, তাঁদের সঙ্গে সিঙ্গুরে ২৭৭টি বুথের সভাপতি, সিঙ্গুরে দলের জেলা কমিটির তিন সহ-সভাপতি এবং রাজ্য কমিটির স্থানীয় তিন সদস্য-সহ প্রত্যেক পদাধিকারী রয়েছেন। ঘটনাস্থল সিঙ্গুর স্টেশন লাগোয়া বুড়োশান্তি মাঠে তৈরি মঞ্চ।
অন্যদিকে, সপ্তগ্রামে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রার্থী দেবব্রত বিশ্বাসকে মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে বিক্ষোভের আশঙ্কা ছিল। যদিও তা প্রকাশ্যে আসেননি। এই কেন্দ্রে তাঁর মূল লড়াই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, বিদায়ী বিধায়ক তথা মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে।
অনশন প্রসঙ্গে বিজেপির সিঙ্গুর মণ্ডলের সহ-সভাপতি গৌতম মোদক বলেন, ‘আমরা দলের বিরুদ্ধে নয়। দল ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। যাঁর দলের লোকজন এতদিন আমাদের উপর অত্যাচার করল, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতেই প্রার্থী করে দেওয়া হল। ওঁকে আমরা মানব না।' তাঁর অভিযোগ, অনেক অনুরোধের পরও তিনি কারোর সঙ্গে কথা বলেননি।
প্রার্থী রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘আমি প্রচার শুরু করে দিয়েছি। দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কথাও হয়েছে।’ দলের হুগলি জেলা সাংগঠনিক (সদর) সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘তৃণমূলের একাংশের উস্কানিতেই সিঙ্গুরে ওইসব হচ্ছে।’ তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন